ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতে পিংক নোটের আতঙ্ক, সোনার দোকানে ছুটছে মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
ভারতে পিংক নোটের আতঙ্ক, সোনার দোকানে ছুটছে মানুষ

গেল শনিবার এক ক্রেতা শীর্ষস্থানীয় এক জুয়েলারি দোকানে সোনার বালার বুকিং দেন এবং পাঁচ লাখ রুপি পরিশোধ করেন দুই হাজার রুপির নোটে। বালা হাতে পেতে তার কয়েকদিন সময় লাগবে।

 

বাজার থেকে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) দুই হাজার রুপির নোট তুলে নেওয়ার ঘোষণা পরদিন অলঙ্কার ব্যবসায়ীরা দেখতে পান, সেই নোট ব্যবহার (বদল) করে ক্রেতাদের সোনা কেনার ধুম পড়েছে। যাদের কাছে প্রচুর দুই হাজার রুপির নোট আছে, যারা হাতে থাকা পুরো অর্থের ঘোষণা দেন না অর্থাৎ মজুদদাররা সোনা কিনতে ছুটছেন।

বিখ্যাত জুয়েলারি চেইনসহ অনেক দোকানের দৃশ্যই ছিল একই রকম। দোকানে সহকারীরা মেশিনে বা হাতে নোট গুনতে ব্যস্ত ছিলেন। নয়দা শহরে নামকরা একটি রিটেইল দোকানের বিক্রয়কর্মী বলছিলেন, এই পিংক নোট সকাল থেকেই তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

ক্রেতারা বলেন, বেশি সংখ্যক দুই হাজার রুপির নোটে দাম পরিশোধ করার ক্ষেত্রে কিছু গয়নাব্যবসায়ী বেশি অর্থ চাইছেন। অবশ্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ না করেই গয়না কেনার জন্য অবশ্য বিপুল সংখ্যক দুই হাজারি নোট ব্যবহার করা কঠিন কাজ হবে। কেননা উচ্চ-মূল্যের লেনদেনের জন্য প্যান কার্ডের বিস্তারিত বিবরণ লাগে।  

রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) শুক্রবার দুই হাজার রুপির নোট তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে জনসাধারণকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাংকের শাখাগুলোতে নোট জমা বা বিনিময়ে উৎসাহ দেয়।  

কমেট্রেন্ডজ রিসার্চের পরিচালক জ্ঞানশেখারান থিয়াগরাজন বলেন, নগদ অর্থ ব্যবহার করে আপনি সোনা কিনছেন। স্পষ্টতই, এটি এখনকার জন্য চাহিদা বাড়িয়ে দেবে। যেহেতু নোট পরিবর্তনের সময় রয়েছে, সেহেতু চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়বে। আর এই সেক্টরে যেহেতু কড়া যাচাই-বাছাই আছে, সেহেতু গয়না বিক্রেতারাও নিয়ম মেনে চলছে।

এখন কর বিভাগ আয়কর রিটার্নে প্যান কার্ডের তথ্য যাচাই-বাছাই করে থাকে এবং যারা আয়ের তথ্য গোপন করে তাদের শনাক্ত করে।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোনা, ভোগ্যপণ্য, আসবাবপত্র, বিলাসবহুল সামগ্রী এবং ভ্রমণের চাহিদা বাড়বে। লোকজন এসবে দুই হাজার রুপির নোট ব্যবহার করতে চাইবে।  

অর্থনৈতিক থিংকট্যাংক প্রাইসের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজেশ শুক্লা বলেন, স্বল্প সময়ের জন্য চাহিদা বাড়বে। এটি লোকেদের জোরপূর্বক সোনা সঞ্চয় করার জন্যও প্ররোচিত করতে পারে। রিয়েল এস্টেটের মতো কিছু খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২১ 
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।