ঢাকা, বুধবার, ২ আশ্বিন ১৪৩২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

নিরাপত্তা চুক্তি মেনে চলতে যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ: কারজাই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১৪, জুন ১০, ২০১২
নিরাপত্তা চুক্তি মেনে চলতে যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ: কারজাই

ঢাকা: একক সিদ্ধান্তে বিমান হামলা চালিয়ে বেসামরিক মানুষ হত্যা করে দুই দেশের নিরাপত্তা চুক্তিকেই যুক্তরাষ্ট্র হুমকির মুখে ফেলেছে বলে মনে করছেন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই।

গত সপ্তাহে ন্যাটোর বিমান হামলায় ১৮ জন বেসামরিক নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গত শনিবার এ মন্তব্য করলেন কারজাই।



সম্প্রতি স্বাক্ষরিত কাবুল-ওয়াশিংটন নিরাপত্তা চুক্তি মোতাবেক ২০১৪ সালের পর ন্যাটো সম্মুখ যুদ্ধ থেকে সরে এসে প্রশিক্ষকের ভূমিকায় আফগানিস্তানে অবস্থান করবে। সেই সঙ্গে রাত্রিকালীন অভিযানের দায়িত্বও আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অর্পনের কথা বলা হয়েছে।

চলতি বছরে আফগানিস্তানে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের মধ্যে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে। ইদানীং ন্যাটো সেনা এবং বিদেশি স্থাপনা লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। সর্বশেষ গত শনিবার তালেবানের আত্মঘাতী হামলায় চার ফরাসি সেনা নিহত হয়েছে।

এ বছরের শেষ নাগাদ সব সেনা প্রত্যাহারের কথা বললেও শনিবারের এ ঘটনার কারণে ফ্রান্সের এ উদ্যোগ ত্বরান্বিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান অভিযান ক্রমান্বয়ে গুটিয়ে নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে। ইতোমধ্যে তালেবান বন্দিদের তত্ত্বাবধান এবং গ্রামাঞ্চলে ও রাত্রিকালীন অভিযানের দায়িত্ব আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে চুক্তি করেছে।

কিন্তু গত বুধবার আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে না জানিয়ে একটি গ্রামে বিমান চালায় ন্যাটো বাহিনী। এতে ১৮ জন বেসামরিক নিহত হয়। এ ঘটনায় আফগান-মার্কিন নিরাপত্তা চুক্তি কতো দ্রুত বাস্তবতা থেকে সরে যাচ্ছে তাই নিয়ে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের মুখপাত্র আইমাল ফাইজি শনিবার বলেছেন, বুধবারের বিমান হামলা একপক্ষের ছিল কারণ ন্যাটো বাহিনী আফগান বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে হামলাটি পরিচালনা করেনি। ঘটনার তদন্তকারীরা প্রেসিডেন্টকে এভাবেই ঘটনা বর্ণনা করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, প্রেসিডেন্ট কারজাই এবং তার উপদেষ্টারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে তাকে বিশেষ অভিযান সম্পর্কিত চুক্তি ভঙ্গ বলেই বিবেচনা করা হবে।

মুখপাত্র ফাইজি বলেন, কাবুল মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি অনুযায়ী তাদের প্রতিশ্রুতি রাখছে না। একই সঙ্গে গত মাসে স্বাক্ষরিত বৃহত্তর কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তিরও ব্যত্যয় ঘটানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১২
সম্পাদনা:  জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।