হ্যানয়: চীনের সামরিক উন্নয়ন হুমকি নয় বলে মঙ্গলবার আশ্বস্ত করেছে চীন। হ্যানয়ে এশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রথবারের মতো আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলনে এ নিশ্চয়তা দেয় চীন।
বেইজিং এর শক্তি বৃদ্ধির বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আসিয়ান ও সহযোগি আটটি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের নিয়ে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
তবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় চীনের শক্তি প্রদর্শন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস।
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়াং গুয়াংলি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘কাউকে চ্যালেঞ্জ করা বা হুমকি দেওয়া চীনের প্রতিরক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্য নয়। বরং দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যই এ খাতটির উন্নয়ন করা হচ্ছে। ’
একইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের লক্ষ্যে চীন কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, চীনের সামরিক বাহিনীই বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাহিনী।
সম্প্রতি চীনের দক্ষিণ সাগরে বেইজিং এর ক্রমবর্ধমান শক্তি প্রদর্শন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্ববর্তী দেশগুলোর জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে এশিয়ার জলসীমায় এলাকা বিষয়ক বিরোধ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকী বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস।
তিনি বলেন, ‘এলাকাগত অধিকারের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানানো এবং জলসীমার যথাযথ ব্যবহার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জে পরিণত হচ্ছে। ’
একইসঙ্গে চীনের সমালোচনা সত্ত্বেও মার্কিন নৌবাহিনী এশিয়া-প্যাসিফিকের আন্তর্জাতিক সীমানায় অবস্থান করবে বলেও জানান তিনি।
তবে পীত সাগরে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথমহড়া ও চীনের দণি সাগরে দেশটির নৌযানের অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করে চীন।
এদিকে চীনের সঙ্গে সেনা সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে রবার্ট গেটস সোমবার লিয়াং এর সঙ্গে আলোচনা করেন। তাইপেই-এর সঙ্গে ওয়াশিংটন অস্ত্র চুক্তি করার পর জানুয়ারিতে দেশটির সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি ছিন্ন করে চীন।
এটাই আসিয়ানের দশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, জাপান, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো আট আঞ্চলিক অংশীদারদের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম কোনো বৈঠক।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১০