জাকার্তা: নির্বিচারে গাছ কাটা এবং বন উজাড়ই ইন্দোনেশিয়ার সাম্প্রতিক বন্যার জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন একদল বিশেষজ্ঞ। তবে এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে দেশটির সরকার।
ইন্দোনেশিয়া সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করা দেশগুলোর একটি। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকে দায়ী করা হয়। পাম ওয়েল উৎপাদনে বন পরিষ্কার ও অবৈধভাবে গাছ কাটার জন্য বন উজাড় হয়ে যাওয়ার সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে দেশটি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্দোনেশিয়ার বন থেকে প্রতি ঘণ্টায় তিনটি ফুটবল মাঠের সমান এলাকা উজাড় হয়ে যাচ্ছে।
তবে ইন্দোনেশিয়ার বনমন্ত্রী জুলকিফি হাসান দাবি করে বলেন যে, পশ্চিম পাপুয়া প্রদেশের তেলুক ওনদামা জেলায় ভারী বর্ষণের কারণে প্রাকৃতিক বাঁধ ফেটে গত সোমবার বন্যার সৃষ্টি হয়। হাসান বলেন, ‘ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভূমিধসের কারণে বাঁধটি ভেঙ্গে অঞ্চলটি প্লাবিত হয়। সম্ভবত ভূমিকম্পই এই বৃষ্টিপাতের কারণ। ’
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ পাপুয়াতে গাছ কাটা হচ্ছে। কিন্তু এটি বন্যার জন্য দায়ী নয় এবং এর সঙ্গে দুর্যোগপূর্ণ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। ’
বন্যায় এখনও শতাধিক লোক নিখোঁজ ও ৭০০ জন আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানান। শক্তিশালী পানির প্রবাহ উপড়ে গাছ, পাথর ও ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে বন্যায় ডুবে নিহতদের ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১০
এনজে/আরআর