কোপিয়াপো: সান হোসে খনি থেকে উদ্ধার পাওয়া শ্রমিকদের তিনজন বৃহস্পতিবার রাতেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন । প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আটকে পড়া ৩৩ জন শ্রমিকের শেষ জনকে উদ্ধার করার ২৪ ঘণ্টা পরই ফোরেন্সিও আভালোস, হুয়ান ইয়ানেস এবং বলিভিয়ার কার্লোস মামানিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ছাড়া পাওয়া তিন শ্রমিক একটি মিনিবাসের সাহায্যে হাসপাতাল ত্যাগ করেন বলে লা তেরসেরা নামের সংবাদপত্রটির নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়।
৬৯ দিন মাটির নিচে আটকে থাকার পর তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ে নিশ্চিত হতে ৩৩ জন শ্রমিককেই বাধ্যতামূলকভাবে হাসপাতালে কিছু সময় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কোপিয়াপোতে অবস্থিত খনির খুব কাছের এ হাসপাতালটিতে তাদের প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়।
উদ্ধার পাওয়া বাকি ৩০ খনি শ্রমিককে খুব শিগগিরই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে চিকিৎসকরা জানান।
দীর্ঘ সময় অন্ধকারে কাটানোর পর সূর্যের আলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে শ্রমিকদের কয়েকজন রোদ চশমা পরে আছেন। তবে তাদের অবস্থা বর্তমানে আশ্চর্যজনকভাবে ভাল আছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
তবে ফুসফুসে প্রদাহের কারণে এদের মধ্যে একজন গুরুতর অসুস্থ। তবে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার আগেই তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়েছে।
অসুস্থ ওই শ্রমিক একইসঙ্গে অনেক ওজনও হারিয়েছেন। তার সম্পর্কে আরেক শ্রমিক সম্প্রচার মাধ্যমকে বলেন যে প্রথম ১৭ দিনেই সে ১২ কেজি ওজন হারিয়েছে।
কেননা, আটকে থাকা অবস্থায় তারা খুবই অপর্যাপ্ত খাবার পেয়েছেন। এর মধ্যে ছিলো কৌটাজাত টুনা মাছ এবং দুধ। প্রতি দুই দিনে তারা এর এক কামড় করে খেতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার সন্তানের জন্ম হওয়া পর্যন্ত বাঁচবো না বলে দুশ্চিন্তিত ছিলাম। ’
তবে পরবর্তীতে বড় আকারের গর্ত খুঁড়ে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার, পানি, অক্সিজেন পাঠানোসহ বিনোদনেরও ব্যবস্থা করা হয়।
এত গভীর থেকে কোনো মানুষকে উদ্ধারের ঘটনা এটাই প্রথম। তাদের উদ্ধারে চিলির নৌবাহিনী নতুন ধরনের যন্ত্রাদি তৈরি করে।
আর পুরো উদ্ধার প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করতে মোট ১ থেকে ২ কোটি ডলারের মতো ব্যয় হয় বলে চিলির প্রেসিডেন্ট পিনেরা জানান।
এ মুহূর্তে নিরাপত্তার জন্য সান হোসের এ তামার খনিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১০