প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণে পেরু-চিলির মাঝামাঝি পরিখায় ভুতের মতো সাদা বর্ণের মাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। স্কটল্যান্ডের অ্যাবারডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালেন জেমিসনের নেতৃত্বে সমুদ্র জীববিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল সাগরের পৃষ্ঠভাগ থেকে প্রায় ৪১-৪২ মাইল গভীরে এ প্রজাতির সন্ধান পায়।
একইসঙ্গে দণি আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের পরিখায় বান ও কঠিন খোল বিশিষ্ট কাঁকড়াজাতীয় প্রাণীরও সন্ধান পায় এই গবেষকদল।
আগে সূর্যের আলো প্রতিফলিত না হওয়া পানির এতো গভীরে প্রতি বর্গইঞ্চিতে প্রায় দশ হাজার পাউন্ড পানির চাপের মধ্যে এধরনের প্রাণী দেখা যায়নি।
জাপান ও নিউজিল্যান্ডের গবেষক দলের নেতা জেমিসন বলেন, ‘পানির এত গভীরে কোনো মাছ নেই বলে আগে ধারণা করা হতো। কিন্তু এখানে বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রচুর নতুন প্রাণের সন্ধান পাওয়া গেছে। ’
তিন সপ্তাহের অভিযানে এ প্রাণীগুলো আবিষ্কার করা হয় এবং এসময় বিজ্ঞানিরা ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৮ হাজার মিটার গভীরে প্রাণীগুলোর ৬ হাজারের বেশি ছবি তোলেন।
জেমিসন বলেন, ‘এ ধরনের আরও নতুন প্রাণীর সন্ধানে পেরু ও চিলিতে পরিচালিত গবেষণা এলাকার ৬০০ মাইল দূরে প্রশান্ত মহাসাগরের অন্য পরিখাগুলোতেও আমরা আমাদের গবেষণা চালিয়ে যাবো। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এ গবেষণার মধ্য দিয়ে পানির এতো গভীরে বৈচিত্র্যপূর্ণ ও প্রচুর পরিমাণ প্রাণের সন্ধান বিষয়টির পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন। ’
নিউজিল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের প্রাণী বিশেষজ্ঞ নিয়াম কিলগালেন বলেন, ‘অন্য কোনো প্রাণী ছাড়া শুধু এই প্রাণীরাই কেন এবং কিভাবে এতো গভীরের পরিখায় বেঁচে থাকতে পারে তা প্রশ্নের দাবি রাখে। ’
অ্যাবারডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাসমুদ্র বিষয়ক গবেষণাগার, টোকিও’র মহাসমুদ্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং নিউজিল্যান্ডের পানি ও বায়ুমন্ডলীয় জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এ গবেষণা পরিচালনা করে।
তিন বছরের যৌথ প্রকল্পের মধ্যে সপ্তম ও অতি সাম্প্রতিক এ অভিযানটি ৩১ আগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিচালিত হয়। ১০ সেপ্টেম্বর ভুতুরে মাছের সন্ধান পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১০