প্যারিস: ফ্রান্সের শ্রমিক ইউনিয়ন চাকরি থেকে অবসরের মেয়াদ বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে। শনিবার বিভিন্ন শহরে লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে শনিবার ৮ লাখ ২৫ হাজার বিক্ষোভকারী সারা দেশে বিক্ষোভে অংশ নেয়। পুলিশ ৩০ জন বিক্ষোভকারীকে প্রেপ্তার করেছে।
সেপ্টম্বরের শুরুতে প্রেসিডেন্ট চাকরি থেকে অবসরের বয়স সীমা ৬০ থেকে ৬২ করার ঘোষণা দেন। এর পর থেকে শ্রমিক ইউনিয়ন আন্দোলনে নামে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি আন্দোলনের তোড় কমে এসেছে।
এদিকে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা আন্দোলন চালিয়ে যেতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। শ্রমিকদের আন্দোলনে হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা একাত্বতা ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার আরও বড় ধরনের বিক্ষোভের আয়োজন করছে বিক্ষোভকারীরা। তারা সরকারকে সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে আসার দাবি জানিয়েছে।
এদিকে শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে প্যারিস বিমানবন্দরে জ্বালানি সরবরাহ রাখায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে আন্দোলন শুরুর পর আন্দোলনরতরা প্যারিস বিমানবন্দরে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
ফ্রান্সের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ পেট্রিক গ্রেন্ডিল বলেন, প্যারিস বিমান বন্দরে শনিবার বিকাল থেকে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
জ্বালানি সংকটেরন কারণে ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলের নানটিস বিমান বন্দরের ফ্রাইট সিডিউল বাতিল করা হয়েছে। তবে বিমান কর্তৃপক্ষ ফাইট বাতিলের বিষয়টি নাকোচ করে দিয়েছে।
কিন্তু ইউনিয়নের নেতারা অন্যন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে এবং দেশব্যাপি মঙ্গলবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
শ্রমিকদের দাবি সরকারের অবসরের বয়সসীমা ৬০ থেকে ৬২ করার সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে আসবে। এয়ার বাস কর্মী স্টিফেন ফিবুল্ট জানান, আমরা তুষার উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। আমরা সবাইকে আন্দোলনে যোগ দিতে উৎসাহিত করছি।
বিক্ষোভের কারণে ফ্রান্সের ১২টি তেল শোধনাগারের মধ্যে ১০টি বন্ধ হয়েগেছে। তবে তেল সংকট যাতে না হয় সে জন্য দাঙ্গা পুলিশ তেল ডিপো গুলোতে তেল সরবরাহ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১০