কায়রো: পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের সমালোচনা করেছে মুসলিম বিশ্বের নেতারা। তারা একে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা বলে মনে করেন।
৬ টি উপসাগরীয় দেশ নিয়ে গঠিত গাল্ফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) মহাসচিব আব্দেল রাহমান আল-আতিয়া ইসরায়েলের ২৩৮ টি বসতি নির্মানের সিদ্ধান্তকে আগ্রাসী এবং উস্কানীমূলক বলে উল্লেখ করেছেন।
৫৬ টি মুসলিম দেশের সংস্থা অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স (ওআইসি) বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইচ্ছার অবহেলা করেছে এবং নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরু করতে খুব একটা আগ্রহী নয়।
এর আগে ২০ মাসের বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় আবারও শান্তি আলোচনা শুরু হয়। তবে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস শর্ত দিয়েছিলেন, ইসরায়েলকে হয় বসতি স্থাপন অথবা শান্তি আলোচনা এগিয়ে নেওয়া যে কোনো একটি বেছে নিতে হবে। তিনি বলেন দখলকৃত ভূ-খন্ডে বসতি স্থাপন চালু রাখলে সরাসরি শান্তি আলোচনা বন্ধ হয়ে যাবে।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্য দ্বন্দ্ব নিরসনে আয়োজিত নিরাপত্তা কাউন্সিল বলেছে, জাতিসংঘের দূত মেরন রুবেন ফিলিস্তিন ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করলেই শুধু বসতি স্থাপন বন্ধ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন।
‘কিন্তু ইসরায়েল উদ্বিগ্ন, যদি আরব দেশগুলো ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আগেই জাতিসংঘের স্বীকৃতি নিয়ে ফেলে’ মেরন বার্তা সংস্থা এএফপিকে সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
মেরন আরও বলেন, আমরা চাই কোনো চাপের কারণে নয় দুই পক্ষই সমঝোতার ভিত্তিতে একটি চুক্তিতে পৌঁছোতে সক্ষম হোক ।
উল্লেখ্য ১০ মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর বসতি স্থাপনের মেয়াদ শেষে ইসরায়েল নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু করায় দীর্ঘ প্রতিক্ষিতি শান্তি আলোচনা হুমকির মুখে পড়েছে’।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১০