সিডনি: বিভিন্ন বন্দিশিবিরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা বেশ কিছু রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ছে অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড বলেছেন, জোট সরকার আরও মানবিক উপায়ে সংখ্যালঘু পরিবারগুলোর কমিউনিটি ভিত্তিক আবাসনের ব্যবস্থা করবে। একইসঙ্গে শিশুদের স্কুলে যাওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে।
গিলার্ড বলেন, ‘এটা মূলত শিশুদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা দীর্ঘসময় আটকাবস্থায় থাকলে তাদের শরীর এবং মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ’
আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে বেশ কয়েকটি পরিবার এবং কিছু শিশুকে বন্দিশিবির থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। তিনি অবশ্য এদের সঠিক সংখ্যা জানাননি। মুক্তি পাওয়াদের কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
নতুন নিয়মের আওতায় সবচেয়ে অসহায় পরিবারগুলোকে প্রথমে সুযোগ দেওয়া হবে বলে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী ক্রিস বোয়েন জানিয়েছেন। তবে এখনই তা ঘোষণা করা দায়িত্বহীন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা ও স্কুলে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হবে। ’
একইসঙ্গে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য সুবিধা বাড়াতে আরও দুটি নতুন বন্দিশিবির তৈরি করবে দেশটি। কারণ এ বছর নৌকায় করে আরও ৫ হাজার দরিদ্র অভিবাসী দেশটিতে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ক্রিসমাস দ্বীপের প্রধান বন্দিশিবিরটি পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে কিছু লোককে তাবুর মধ্যে রাত কাটাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১০