ম্যানিলা: ফিলিপাইনে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মেগির আঘাতে ১০ জন নিহত হয়েছেন। চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উঁচু দালানের সমান ঢেউয়ের তোড়ে বিপুল পরিমাণ ধানী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশটির প্রধান দ্বীপ লুজনে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ এবং যোগযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন আছে।
সোমবার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় মেগির প্রভাবে এ অঞ্চলের উপর দিয়ে ২৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো বাতাস বয়ে যায়। এর ফলে দ্বীপটি বিদ্যুৎ ও সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
তবে ঘূর্ণিঝড়টি এর গতিপথ পরিবর্তন করে চীনের দিকে ধাবিত হতে শুরু করলে মঙ্গলবার বাতাসের বেগ দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে আজ দ্বিতীয় দিনের মতোও লুজোনের একটি বড় অংশে ভারী বর্ষণ অব্যাহত আছে।
এদিকে, উদ্ধারকর্মীদের জন্য দ্বীপটির বিচ্ছিন্ন এসব এলাকা বিশেষত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় ইসাবেলা প্রদেশে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
ডিজেডবিবি রেডিওতে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে ইসাবেলার গভর্নর ফুসতিনো দাই বলেন, ‘ম্যাকুনাকোনের ঢেউগুলো ছিলো দালানের সমান বড় এবং ঢেউ শহরটি প্লাবিত করে। ’
ম্যাকুনাকোন গ্রামে পানি, খাবার এবং ওষুধের প্রয়োজন বলে দাই জানান। গ্রামটির প্রায় ৪ হাজার বাসিন্দা এখনও বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন।
সোমবার ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ম্যাকুনাকোনের তিনজন ডুবে মারা গেছেন এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলেও তিনি জানান।
তবে ইসাবেলার ২৪০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে পৌঁছানো এখনও অসম্ভব। তাই পুরো উপকূলীয় এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই জানানো সম্ভব নয় বলে দাই জানান।
তবে পুরো ইসাবেলা দ্বীপের প্রায় এক লাখ হেক্টরের মতো ধান ও গম নষ্ট হয়েছে বলে জানান তিনি। ইসাবেলা ফিলিপাইনের প্রধান কৃষি এলাকা।
তবে ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর সাহায্যে হাজার হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। মৃতের সংখ্যা আর বাড়বে না বলে আশা করা হচ্ছে।
লুজোনের ৭ হাজার ৯০০ মানুষ এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন বলে সরকারি সূত্রে জানা যায়। তবে ধ্বংসাবশেষের কারণে পথ বন্ধ হয়ে এখনও অনেক এলাকায় যাওয়া অসম্ভব।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২:০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১০