ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত বৃহস্পতিবার বিচারক নিয়োগের বিতর্কিত নতুন কার্যাপ্রণালী পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছে। সাংবিধানিক সংস্কার প্যাকেজের আওতায় চলতি বছরের প্রথম দিকে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
দুর্নীতির মামলা নিয়ে আদালত ও সরকারের মধ্যে অচলাবস্থা চলছিলো। এ অবস্থায়ই জনপ্রিয় ওই বড় প্যাকেজের আওতায় বিচ্ছিন্ন এ সংস্কার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালত এই রায় দেন।
প্রধান বিচারক ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদকে নির্দেশ দিয়েছি। ’
সর্বোচ্চ বিচারককে প্রধান করে গঠিত কমিশনের সাহায্যে বিচারক নিয়োগের বিষয়টিতে আইন বিশেষজ্ঞরা ভিন্নমত পোষন করেন। কিন্তু আইনপ্রণেতারা প্রার্থীদের মনোনয়ন দিলে তা বিচারক বিভাগের স্বাধীনতা ভঙ্গ করে।
ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও সরকারের মধ্যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। মূলত একজন বিচারকের সাধারণ ক্ষমায় প্রেসিডেন্টসহ আরও ৮০০ জন দুর্নীতির মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার পর এ সমস্যা দেখা দেয়।
তবে ন্যায় বিচার বজায় রাখতে সংসদের কার্যনির্বাহী পরিষদ ও বিচার বিভাগের মধ্যে বিদ্যমান দ্বন্দ্ব সমাধান করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১০