ব্যাংকক: থাইল্যান্ডে গত দুই সপ্তাহের বন্যায় মৃতের সংখ্যা সোমবার ৪১ জনে পৌঁছেছে। জরুরিবিষয়ক কর্মকর্তারা আরও তিনটি বিপর্যয়ের ব্যাপারে প্রতিবেদন দিলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যায়।
গত ১০ অক্টোবর শুরু হওয়া দেশব্যাপী বন্যায় লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অসংখ্য মানুষের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। সরকার প্রান্তিক অঞ্চলে বন্যায় আটকে পড়া মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে।
নদীর পানির উচ্চাতা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকক শহরকেও পর্যবেণ করা হচ্ছে সতর্কতা সহকারে। ব্যাংককের গভর্নর সুখুমভান্দ পরিবত্র একটি টেলিভিশনকে বলেন, ‘খুব গভীরভাবে আমাদের পরিস্থিতি পর্যবেণ করত হবে। আমরা এখনো সংকটের মধ্যে রয়েছি। তবে অযথা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ’
ব্যাংককের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো বালিভর্তি দুই লাখ ব্যাগ দিয়ে জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া এক লাখ পানি পাম্প করা মেশিন প্রস্তুত রয়েছে। মঠ, মসজিদ ও স্কুল থেকে সবাইকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে রাখা রয়েছে।
কৃষিসেচ বিভাগ থেকে ব্যাংককের চাও ফ্রায়া নদীর পার্শ্ববর্তী লোকজনকে সতর্ক করে বালিভর্তি ব্যাগ ও বাঁধ ঠিকভাবে পর্যবেণ করার জন্য বলা হয়েছে। তবে ওই বিভাগ জানিয়েছে, নদীর উচ্চতা রোববারের চেয়ে কমেছে।
থাইল্যান্ডের জরুরিবষয়ক মেডিকেল ইনস্টিটিউট থেকে সর্বশেষ জানানো হয়েছে, উত্তরাঞ্চলের প্রদেশ নাখোন সাওয়ানে একজন ও লপবুরি প্রদেশে আরও দুই জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১০