ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩২, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গাজায় শিশু হাসপাতালেও ইসরায়েলি হামলা, আরও ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তজার্তিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
গাজায় শিশু হাসপাতালেও ইসরায়েলি হামলা, আরও ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৩২ জন  ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক।

নিহতদের মধ্যে ১১ জন রয়েছেন যারা খান ইউনিসে তাদের বাড়ির ওপর ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে সৃষ্ট আগুনে পুড়ে মারা গেছে। গাজায় শিশু হাসপাতালও রেহাই পায়নি ইসরায়েলি হামলা থেকে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতভর এই বিমান হামলায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। কারণ, ইসরায়েলি বোমা হামলায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মৃতদের উদ্ধারে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি জানায়, মঙ্গলবার গাজা উপত্যকাজুড়ে বোমা বর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। গাজা শহরের আল ডোরা পেডিয়াট্রিক হাসপাতালে আক্রমণ করেছে দখলদাররা। এদিন পশ্চিম গাজা সিটিতে আশ্রয় নেওয়া এক বাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে একই পরিবারের সাত সদস্য নিহত হয়েছেন। নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে একদল লোককে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গুলি বর্ষণ করে। এতে দুই মেয়েসহ তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মঙ্গলবারের মধ্যরাতে গাজা শহরের আল-তুফাহ পাড়ায় অবস্থিত আল-দুররা শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে গোলাবর্ষণ করেছে। টেলিগ্রামে একটি পোস্টে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই হাসপাতালের বিদ্যুৎ সরবরাহের সৌর প্যানেলও লক্ষ্য করো বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ হাজার ২৬৬ জনে পৌঁছেছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরও ৬০ জনেরও বেশি মানুষকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৯১ জনে পৌঁছেছে।  

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ -এর কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজ্জারিনি সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সম্মিলিতভাবে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন,  যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

লাজ্জারিনি হতাশা প্রকাশ করে জানান, গাজার সবাই ক্ষুধার্ত কিন্তু খাদ্য নেই। চারিদিকে ক্ষত-বিক্ষত আহত রোগী কিন্তু ওষুধও ফুরিয়ে গেছে। অথচ ইউএনআরডব্লিউএ’র মানবিক সাহায্যের প্রায় ৩ হাজার ট্রাক গাজার বাইরে আটকে, প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী।  

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ