মৌলভীবাজার: যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্য থেকে কংগ্রেসের প্রতিনিধিসভার (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হ্যানসেন হাশিম ক্লার্ক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ডেমোক্রেটিক দলের পক্ষে কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-১৩ থেকে তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন।
তার বাবা প্রয়াত মোজাফফর আলি হাশিম মৌলভীবাজার জেলার বিয়ানিবাজারের সন্তান। মা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত থেলমা ক্লার্ক।
এবারের নির্বাচনে ওবামার দল প্রতিনিধিসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও জিতেছেন হ্যানসেন হাশিম ক্লার্ক।
এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মার্কিন সিনেটে ডেমোক্রেটিক দলের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১ আর রিপাবলিকানদের ৪৬টি। সিনেটের মোট ৩৭ নির্বাচিন অনুষ্ঠিত হয়। ডেমোক্রেটরা আগের ছয়টি আসন হারিয়েও সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে ।
আর মার্কিন প্রতিনিধিসভায় ৪৩৫টি আসনে ওবামার দল পেয়েছে ১৮৩টি এবং রিপাবলিকানরা ২৩৯টি ।
হ্যানসেন ৭৭% তথা ৮১,১৯৬টি ভোট (আরেক তথ্য মতে ৭৯%) পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকানপ্রার্থী জন হাউলার পেয়েছেন ২২,০১৭টি ভোট। ক্লার্ক মিশিগান সিনেটেরও একজন সদস্য।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নতুন মাইলফলকের সূচনা হল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের জন্য। আর এ ইতিহাসের নায়ক হচ্ছেন হ্যানসেন ক্লার্ক।
হ্যানসেন হাশিম ক্লার্ক ১৯৯০ সাল থেকেই মিশিগান অঙ্গরাজ্যের সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এই প্রথম তিনি মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য নির্বাচিত হলেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের মূলধারায় আসার ক্ষেত্রে তিনি পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করলেন।
হাশি ক্লার্কের জন্ম মিশিগানের ডেট্রয়েট শহরে, ১৯৫৭ সালের মার্চের ২ তারিখে। শহরের পশ্চিম অঞ্চলে তিনি বেড়ে উঠেছেন। শৈশবেই তার বাবা মারা যান। ক্লার্ক কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলায় স্নাতক । ছাত্রাবস্থাতেই তিনি রাজনীতিতে আগ্রহী হন। এরপর তিনি জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ওপর একটি ডিগ্রি অর্জন করেন।
হ্যানসেন ক্লার্ককে অনেকে সৎ, মেধাবী ও সুশিক্ষিত রাজনীতিকের প্রতীক বলে বিবেচনা করে থাকেন।
এ নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের পক্ষে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের সিনেটর পদপ্রার্থী ড. দেবাশিস মৃধা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু জয়ী হতে পারেননি। জর্জিয়া অঙ্গরাজের সিনেটেও পরাজিত হয়েছেন ড. রশিদ মালিক নামের আরেক বাংলাদেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১০