ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অস্ট্রেলিয়ার যাত্রীবাহী বিমানের সিঙ্গাপুরে জরুরি অবতরণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১০
অস্ট্রেলিয়ার যাত্রীবাহী বিমানের সিঙ্গাপুরে জরুরি অবতরণ

সিঙ্গাপুর: অস্ট্রেলিয়ার ক্যান্টাস বিমান ৪৫৯ জন যাত্রী নিয়ে বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে জরুরি অবতরণ করেছে। পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ায় বিমানটির চারটি ইঞ্জিনের একটি বন্ধ হয়ে গেলে বিমানটি জরুরি ভিত্তিতে সিঙ্গাপুরে অবতরণ করে।



বিমানটি বিধ্বস্ত হয়নি এবং নিরাপদে অবতরণ করেছে বলে সিঙ্গাপুরের বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়।

তবে ইন্দোনেশিয়ার বাতামের বাসিন্দারা বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর ধোঁয়া এবং এর কিছু ভাঙ্গা অংশ দেখতে পান বলে দেশটির মেট্রো টিভিকে জানান।

এদিকে ক্যান্টাস বিমানটি সিঙ্গাপুরের চাংগাই বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের বিষয়টি ওই চ্যানেলকে নিশ্চিত করেছেন ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা কমিটির প্রধান তাতাং কুর্নিয়াদি।

ওই এলাকার রেইনহার্ড নামের এক বাসিন্দা মেট্রো টিভিকে বলেন, ‘বিমানটির বা পাশের পাখা থেকে কালো ধোঁয়া বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা উচ্চস্বরে একটি বিস্ফোরণের শব্দও শুনতে পাই।

তিনি আরও বলেন, ‘বিমানটি তখনও উড়ছিলো, তবে সেখানকার বাসিন্দারা এর ভাঙ্গা অংশ দেখতে পান। এরমধ্যে একটি ছিলো প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার। ’  

এদিকে স্থানীয় থানা থেকে লাল-সাদা রঙের কিছু ধাতব টুকরা দেখায় ইন্দোনেশিয়ার মেট্রো টিভি।

তবে বিস্ফোরণের কথা নাকচ করাসহ কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ছাড়াই বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করেছে বলে বিমান সংস্থাটি দাবি করে।

একইসঙ্গে বিমানের ইঞ্জিনের সমস্যার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মেরাপির অগ্নুৎপাতের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা এ সম্পর্কে ক্যান্টাসের তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সিঙ্গাপুরের বিমানবন্দর থেকে সিডনির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই ডাবলডেকার এ৩৮০ বিমানটির ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয় বলে ক্যান্টাসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়।

এর পর পরই বেলা প্রায় পৌনে বারোটায় ৪৩৩ জন যাত্রী ও ২৬ জন ক্রু নিয়ে বিমানটি সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

এতে বলা হয়, ‘বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে কিছু গণমাধ্যমে জানানো হয়। কিন্ত এ তথ্য ভুল। ক্যান্টাসের কোনো বিমান বিধ্বস্ত হয়নি। ’

একইসঙ্গে কোনো আহত বা বিস্ফোরণের তথ্য পাওয়া যায়নি বলে সিডনি থেকে ক্যান্টাসের মুখপাত্র এমা কেরানস জানান।

এছাড়া ইঞ্জিনের সমস্যার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মেরাপির অগ্নুৎপাতের কোনো সম্পর্ক বিষয়ে মন্তব্য করতেও অস্বীকৃতি জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে তাতাং কুর্নিয়াদি বলেন, ‘এ সমস্যার প্রকৃত কারণ জানার কোনো উপায় নেই। ’

ইন্দোনেশিয়ায় ক্রমাগত অগ্ন্যুৎপাতের কারণে এর আগে পাহাড়ের উপর দিয়ে কিছু বিমান চলাচলের পথ বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।