বেইজিং: তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার সঙ্গে বিশ্বের যেসব শীর্ষ নেতা সাক্ষাৎ করেছেন চীনে ওই দেশগুলোর রপ্তানি কমে গেছে। দুই বছরে রপ্তানি কমে যাওয়ার পরিমাণ ৮ দশমিক ১ শতাংশ।
জার্মানির গোটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয় এসংক্রান্ত একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে।
সমীক্ষার গবেষক অ্যান্ড্রেস ফুকস ও নিলস-হেনড্রিক-এর মতে, এধরনের সাক্ষাতে অর্থনৈতিক ফলাফল দেখিয়ে প্রায়োগিক বিশ্লেষণ এই প্রথম। এর ফলে সবচেয়ে তিগ্রস্ত হয়েছে মেশিনারি, পরিবহন যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে ফুকস বলেন, ‘আমরা বিশ্বে চীনের উত্থানশীল ভূমিকার প্রভাব অনুসন্ধান করতে চেয়েছি। এটা পরিষ্কার, চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর রাজনীতি ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। ’
তবে চীনের মতে, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে তারা রাজনৈতিক বিবেচনায় নিতে চায় না। তবে দালাই লামার সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাক্ষাতের পর দেশটির উন্মুক্ত দিয়েছে, এ ধরনের বৈঠক চীনের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য সম্পর্ক তিগ্রস্ত হবে।
১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত চীনে ১৫৯ দেশের রপ্তানি তথ্য এ সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জাতিসংঘ থেকে। গবেষকরা আবিষ্কার করেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান, রাজা, রানী, ও পোপের সঙ্গে দালাই লামার সাক্ষাতের পরই কেবল চীনে রপ্তানির হার কমেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ, বারাক ওবামা জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কের ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির দালাই লামার সঙ্গে সাক্ষাতের পর চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এই গবেষণার ব্যাপারে জানালে দালাই লামার যুগ্মসচিব তেনজিন তাখলা ভারতের ধর্মশালা থেকে সিএনএনকে বলেন, ‘তার পবিত্র আত্মার (দালাই লামার) আমন্ত্রণকারী দেশের কোনো ক্ষতি করার অভিপ্রায় নেই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১০