ঢাকা, সোমবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ফের মুরসি সমর্থকদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:১৮, জুলাই ২৯, ২০১৩
ফের মুরসি সমর্থকদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি

ঢাকা: আবারও ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসি সমর্থকদের প্রতি কঠের হুঁশিয়ারি দিয়ে মিশরের সেনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, যে কোনো ধরনের সহিংসতা দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে প্রশাসন।

সোমবার দেশটির রাষ্ট্রিয় সংবাদ সংস্থাগুলো জানায়, জাতীয় প্রতিরক্ষা পরিষদ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আদলি মনসুর বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার আহবান জানিয়ে এক বিবৃতি জারি করেন।



বিবৃতিতে ‘মিশরের জনগণ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ও ঘৃণ্য বক্তব্য দেওয়া বন্ধ করতে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে আইন লঙ্ঘন না করতে’ বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহবান জানানো হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘পরবর্তী পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। যে ব্যক্তিই আইন লঙ্ঘন করবে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ’

শুক্রবার রাত ও শনিবার ভোরে কায়রোজুড়ে সহিংসতায় শতাধিক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনার পর এই হুঁশিয়ারি দিল সেনা কর্তৃপক্ষ।

২০১১ সালের শেষ দিকে স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের পর ২০১২ সালের জুনে প্রথম বারের মতো জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মুরসি। কিন্তু বিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে সেনা অভ্যুত্থানে গত ৩ জুলাই ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।

তারপর থেকে মুরসিকে স্বপদে বহাল করতে বিক্ষোভ করে আসছে তার দল ব্রাদারহুড। বিক্ষোভ চলাকালে কয়েক দফা সহিংসতায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দুই শত ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবি করছে দলটি।

ব্রাদারহুডের দাবি, শুক্রবার ও শনিবারের সহিংসতার সময় নিরাপত্তাবাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে মুরসি সমর্থকদের ওপর।

এ দিকে দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, গৃহবন্দি মুরসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শুক্রবার মানবাধিকার নেতাদের একটি প্রতিনিধি দলকে অনুমতি দিয়েছে সেনাবাহিনী।

মুরসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না পারলেও মানবাধিকার নেতারা জানান, তাকে অজ্ঞাত স্থানে সেনাবাহিনীর নজরদারিতে বন্দি রাখা হয়েছে।

ইসলামপন্থি নেতা মোহাম্মদ সলিম আল আওয়াকে সঙ্গে না নেওয়ায় মানবাধিকার নেতাদের সঙ্গে মুরসি দেখা করেননি বলে জানায় সংবাদ মাধ্যমটি।

তবে মুরসির সঙ্গে গৃহবন্দি সাবেক সশস্ত্র বাহিনী প্রধান রেফা আল-তাহতাবি ও তার সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মানবাধিকার নেতারা।

তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মুরসিকে পরিচিত স্থানে বন্দি রাখতে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ দিতে এবং পছন্দ-অপছন্দ বিবেচনায় নিতে সেনাবাহিনীর প্রতি পরামর্শ দিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধি দলটি।

এছাড়া, কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মুরসি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বন্দি না রেখে মুক্তি দেওয়ারও সুপারিশ করেন তারা।

অবশ্য এর আগে ২০১১ সালে হোসনি মোবারকের পতনের সময় হামাসের সঙ্গে যৌথভাবে কারাগারে হামলার অভিযোগ এনে মুরসির বিরুদ্ধে সম্প্রতি ১৫ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেয় সেনাসমর্থিত প্রসিকিউশন।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সোমবার গাজা সীমান্তের কাছে সিনাই শহরের একটি সেনা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের হামলায় এক সেনা নিহত ও আটজন আহত হয়েছে। তবে কারা এ হামলা চালিয়েছে এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।