ঢাকা: মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ও মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকরা সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের সদর দপ্তর অভিমুখে যাত্রা (মার্চ) করেছে। সোমবার সকালের দিকে রাজধানী কায়রোর রাবা আল-আদাইয়া মসজিদ থেকে রওনা দেন মুরসি সমর্থকরা।
শনিবার সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করতে গিয়ে সহিংসতায় শতাধিক মুরসি সমর্থক নিহত হন। মুসলিম ব্রাদারহুডের দাবি, তাদের ওপর সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছে।
সোমবারের অভিযাত্রাকে লক্ষ্য করেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, যে কোনো ধরনের সহিংসতা দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে প্রশাসন।
মিশরের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী আদলি মনসুর আন্দোলনকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, মিশরের জনগণ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ও ঘৃণ্য বক্তব্য দেওয়া বন্ধ করতে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে আইন মানতে হবে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের সদর দপ্তরকে গন্তব্যস্থল হিসেবে উল্লেখ করে মুসলিম ব্রাদারহুডের বিবৃতির পরেই মুরসি সমর্থকদের যাত্রা শুরু হয়।
যাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে মুরসির ছবি, তারা মুরসিকে স্বপদে বহাল করার দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। ‘মুরসির জন্য আমরা রক্ত ও প্রাণ উৎসর্গ করতে পারি’-এমন স্লোগানও দেন তারা।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা পরিকল্পিত এ যাত্রা সম্পর্কে সতর্ক রয়েছে। ‘সামরিক স্থাপনা বিশেষ করে গোয়েন্দা বিভাগের সদর দপ্তরের কাছে না আসার’ জন্য বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বিবৃতি দিয়েছে।
২০১১ সালের শেষ দিকে স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের পর ২০১২ সালের জুনে প্রথম বারের মতো জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মুরসি। কিন্তু বিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে সেনা অভ্যুত্থানে গত ৩ জুলাই ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
তারপর থেকে মুরসিকে স্বপদে বহাল করতে বিক্ষোভ করে আসছে তার দল ব্রাদারহুড। বিক্ষোভ চলাকালে কয়েক দফা সহিংসতায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দুই শত ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবি করছে দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর- eic@banglanews24.com