কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের গণনা শুরু হয়েছে সোমবার সকাল ৮টা থেকে । পর্যায়ক্রমে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং সব শেষে জেলা পরিষদ গণনা চলবে।
প্রাথমিক গণনার ফলাফলে দেখা গিয়েছে- হাতছাড়া হতে চলেছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন ধরে রাখা আসনগুলো ।
অপরদিকে বিপুল জয়ের পথে রয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
এক নজরে জেলায় জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল-
উত্তর ২৪ পরগণার আমডাঙায় ২টি পঞ্চায়েতে বামেদের জয় ঘোষণার পরেই তৃণমূল হামলা করে বলে অভিযোগ। ব্যাপক বোমাবাজি ও ৬টি দোকান ভাঙচুর হয়েছে।
মুর্শিদাবাদে ঘোষিত গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে ৮৬টি, বামফ্রন্টের দখলে ৭৪টি, তৃণমূলের দখলে ৩টি অনান্যরা পেয়েছে ৩৭টি।
বর্ধমানে ঘোষিত গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ১৫৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২২টি তৃণমূলের দখলে। বামফ্রন্টের দখলে ২৫টি। কংগ্রেসের দখলে ৪টি। অনান্যরা পেয়েছে ৬টি।
পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘোষিত ১৩৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল ১৩৫টি তৃণমূলের দখলে। বামফ্রন্ট পেয়েছে ৮টি ও কংগ্রেস পেয়েছে ১টি আসন।
পূর্ব মেদিনীপুরে ঘোষিত ১২৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৮৭টি তৃণমূলের দখলে, ২৮টিতে জয়ী বামেরা, কংগ্রেসের দখলে ৬টি, অনান্যদের দখলে ৬টি।
মালদহতে ঘোষিত ৮২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১৫টি। বামফ্রন্ট ৩৫টি। কংগ্রেস পেয়েছে ২৮টি।
দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘোষিত ৫৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ৩৬টি। ২০টিতে জয়ী বামফ্রন্ট।
কোচবিহারে ঘোষিত ৬৫টির গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৪৬টি তৃণমূলের দখলে। ১৮টি জয়ী বামেরা। ১টিটে জয়ী কংগ্রেস।
উত্তর দিনাজপুরে ঘোষিত ৯৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯টিতে জয়ী তৃণমূল। ১৩টিতে বামফ্রন্ট, ১৮টিতে কংগ্রেস।
উত্তর ২৪ পরগণায় ঘোষিত ৭৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ৪৯টি। ২৫টিতে জয়ী বামফ্রন্ট।
নদীয়াতে ঘোষিত আসনের মধ্যে ৬৪টি তৃণমূলের দখলে। বামফ্রন্ট পেয়েছে ৫৩টি। কংগ্রেস পেয়েছে ১১টি। অনান্যরা পেয়েছে ১৪টি আসন।
বাঁকুড়ায় ঘোষিত গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২৮টি তৃণমূলের দখলে। বামফ্রন্টের দখলে ১৮টি আসন। অনান্যরা পেয়েছে ৩টি আসন।
পুরুলিয়ায় এখনও পর্যন্ত ঘোষিত গ্রাম পঞ্চায়েতের গুলির মধ্যে তৃণমূলের দখলে ৩৯টি আসন। বামফ্রন্টের দখলে ১৯টি আসন। কংগ্রেসের দখলে ৯টি আসন।
উত্তর ২৪ পরগণার পালপুরে ১নম্বর ব্লকে উত্তেজনা। পুলিশের গায়ে আবির দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে বচসা তৃণমূল সমর্থকদের।
নন্দীগ্রাম ১নম্বর ব্লকে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯টি তৃণমূলের দখলে। ১টিতে জয়ী নির্দল প্রার্থী।
হাওড়ায় ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে। ৪টি তে জয়ী বামেরা।
বীরভূমে কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬টি আসনে জয়ী আসনে জয়ী তৃণমূল। বাকি ৬টিতে জয়ী বিরোধী প্রার্থীরা।
পূর্ব মেদিনীপুরে খেজুরির বসতলা গ্রাম পঞ্চায়েত জয়ী হন নির্দল প্রার্থী কানাই জানা। এই প্রার্থীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ এলাকাবাসীর।
খরজুনা গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী সিপিআইএম প্রার্থী। মুর্শিদাবাদে খরজুনা গ্রাম পঞ্চায়েত ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় খরজুনা।
রাজারহাট ব্লকে ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী তৃণমূল। পুরশুরা পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে। ১৩টি জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতে এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস।
নানুরে জেলাপরিষদের একটি আসনে জয়ী বামফ্রন্ট।
উত্তর ২৪ পরগণার অশোক নগরে সিপিএম-তৃণমূল সঙঘর্ষ। এলাকায় উত্তেজনা।
মালদায় ঘোষিত ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ১০টি আসন সিপিআইএমের। ৪টি পেয়েছে কংগ্রেস।
জামুড়িয়া দখল করল তৃণমূল।
তৃণমূল এগিয়ে- কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
বামফ্রন্ট এগিয়ে- জলপাইগুড়ি, মালদহ,
কংগ্রেস এগিয়ে- উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ। গণনাকেন্দ্রের ২০০ মিটার চৌহদ্দি ঘিরে জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। কেন্দ্রের ভিতরে নিষিদ্ধ থাকছে মোবাইল, থাকবে সিসিটিভিও, চলবে ভিডিওগ্রাফি।
নিরাপত্তার কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বিজয় মিছিল। রাজ্য জুড়েই টানটান উত্তেজনার মধ্যে বাকি আসগুলোর গণনা চলছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৭৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর, কো-অর্ডিনেশন