ঢাকা: ইরানের উদারপন্থি নেতা হাসান রুহানি দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। শনিবার শপথ নেয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মাহমুদ আহমাদিনেজাদের উত্তরসূরি হিসেবে অভিষিক্ত হলেন তিনি।
শপথ নেয়ার পর পার্লামেন্টে বক্তব্য দেন রুহানি। তিনি বলেছেন, সকল ইরানিদের প্রতিনিধিত্বকারী ‘প্রজ্ঞা আর আশার’ সরকার গঠন করবেন তিনি।
দেশের নাজুক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। দেশের নারীদের অধিকতর স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিত করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৭৬ বছর বয়সী রুহানি ।
পশ্চিমা দেশগুলোতে পড়াশোনা করা রুহানি দেশের ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞায় সমাধান আসবে না। আপনারা যদি যথার্থ সাড়া পেতে চান, তাহলে নিষেধাজ্ঞার ভাষায় আপনাদের কথা বলা উচিত নয়। আপনাদের সম্মানের ভাষায় কথা বলা উচিত।
কে ভোট দিয়েছে, কে ভোট দেয়নি তা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই রুহানির। সব ইরানিদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করতে চান তিনি। তিনি বলেছেন, যারা আমাকে ভোট দিয়েছে বা যারা আমাকে ভোট দেনটি কিংবা যারা ভোটই দেননি (ভোট দানে বিরত) তারা সবাই ইরানের নাগরিক এবং তাদের নাগরিক অধিকার রয়েছে।
ইরানের পার্লামেন্ট মজলিশে শূরায়ে ইসলামীতে নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৬০ দেশের কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে ১০টি দেশের প্রেসিডেন্ট ও দুটি দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
ইরানে ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের পর প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে বিদেশি কর্মকর্তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
গত ১৪ জুন ইরানে ১১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ড. হাসান রুহানি ৫০.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল শতকরা ৭২.৭ ভাগ। সংস্কারপন্থি গোষ্ঠীগুলোর সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com