ঢাকা: পাকিস্তানের করাচিতে মঙ্গলবার সহিংসতায় ১৫জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দু’জন বিদেশি ছিলেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন।
বিদেশিরা মরোক্কোর নাগরিক বলে জানা গেছে। কর্মকর্তারা মনে করছেন, করাচিতে বিশেষ নিরাপত্তা রক্ষী পরিচালিত অভিযানের বিরুদ্ধে এ হামলা করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, আল্লামা দীদার আলি জালবানি নামে একজন শিয়া নেতা মঙ্গলবার বিকেলে নিহত হন। অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি ও তার গাড়িচালক নিহত হন। এর কয়েক ঘণ্টা পর উত্তর নাজিমাবাদে মাদনি মসজিদের সামনে বন্দুকধারীদের গুলিতে তাবলিগি জামায়াতেরও তিন সদস্য নিহত হয়েছেন।
সিঙ্গার চৌরঙ্গীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সৈয়দ জাকির হোসেন নামে আরেক ব্যক্তি নিহত হন। কাসিম বন্দর কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তাও গুলিতে নিহত হয়েছেন।
আরেকটি হামলায় তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের স্থানীয় কমান্ডার ও তার আরও চার সহচর নিহত হয়েছেন।
হাকিমুল্লাহ মেহসুদ গ্রুপের সদস্যরা তাকে হত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন উত্তর নাজিমাবাদের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আখতার।
লান্ধির মানসেহরা কলোনিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আরেক তরুণ নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে বালদিয়া শহরে অপহৃত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সামানাবাদ এলাকায় হাতবোমার আঘাতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৩