ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আখাউড়া-আগরতলা রেললাইনের প্রাথমিক কাজ শুরু

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৪
আখাউড়া-আগরতলা  রেললাইনের প্রাথমিক কাজ শুরু

আগরতলা (ত্রিপুরা) : আগরতলা-আখাউড়ার মধ্যে রেল লাইন বসানোর প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। নির্মাণ সংস্থা ইরকন পূর্বোত্তর রেলওয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এই কাজ শুরু করেছে।

বর্তমানে রেল লাইন পাতার জন্য চলছে মাপ ঝোঁক।

আগরতলা শহরের বাধারঘাট এলাকায় ইরকনের কর্মীরা এই কাজ করছেন। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক রেললাইনের এ প্রকল্পের কাজ।

ইরকন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি কোম্পানি। যারা দেশে-বিদেশে রেল লাইন নির্মাণের কাজ করে। ডেপুটি ম্যানেজার বিজয় বেহেরার নেতৃত্বে গত কয়েকদিন ধরেই ইরকনের একটি টিম আগরতলায় অবস্থান করছেন।

বিজয় বেহেরা জানিয়েছেন কিছুদিনের মধ্যেই আগরতলার বাধারঘাটে তারা একটি অফিস খুলবেন।

এদিকে রাজ্যের পরিবহন সচিব কিশোর আম্বুলি জানিয়েছেন, আগরতলা-আখাউড়া রেল লাইন নির্মাণের দায়িত্ব পায় ইরকন। তারা দায়িত্ব পাবার পর পূর্বোত্তর রেলওয়ের পক্ষ থেকে তাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল কাজ শুরু করার জন্য।

সেই মোতাবেক তারা রাজ্যে এসে যোগাযোগ করে কাজ শুরু করেন। তিনি জানান, ইরকনের চার জনের একটি দল রাজ্যে এসেছেন। তারা এখন জমি মাপঝোঁকের কাজ করছেন। এই কাজটি শেষ হলে সংস্থার বাকি কর্মীরা এসে পড়বেন।

যে পথ দিয়ে রেল যাবে তার জন্য জমি চূড়ান্তকরণের কাজ করছেন এই দলের কর্মীরা। তা শেষ হলে রাজস্ব ম্যাপে অন্তর্ভুক্ত হবে জমি চিহ্নিতকরণের বিষয়টি। তারপর জমি অধিগ্রহণ করবে রেল। পরিবহন সচিব জানিয়েছেন ২০১৪-১৫ অর্থ বছরেই শুরু হবে নির্মাণ কাজ।

আগরতলা-আখাউড়া রেল লাইন নির্মাণের জন্য আগেই চুক্তি হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে। চুক্তি অনুযায়ী আগরতলা রেল স্টেশন থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেল লাইন হবে ১৫ কিলোমিটার।
গোটা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে খরচ হবে ২৫২ কোটি টাকা। পুরো টাকাই বহন করবে ভারত সরকার। দু দেশের প্রতিনিধিরা বেশ কয়েকবার সমীক্ষা করেছেন প্রকল্পটি নিয়ে। দু দেশের মধ্যে এ বিষয়ে একটি মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আগরতলা থেকে আখাউড়া রেল স্টেশনের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে ভারতের দিকে অর্থাৎ ত্রিপুরায় হবে ৫ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের দিক থেকে হবে ১০ কিলোমিটার।

ভারতের দিকে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশের দিকে ব্যয় হবে ১৪৭ কোটি টাকা। এরমধ্য বাংলাদেশের দিকে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ধরা হয়েছে ২১ কোটি টাকা।

বাংলাদেশের দিকে রেল লাইন নির্মাণ এবং জমি অধিগ্রহণে টাকা দেবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দুদেশের যৌথ সমীক্ষক দল আগেই এই রেল রুট চূড়ান্ত করেছিল।

রেল যাবে আগরতলা রেলস্টেশন হয়ে সিদ্ধিআশ্রম,  বাধারঘাট, চাড়িপারা, নিশ্চিন্তপুর হয়ে বাংলাদেশের গাঙ্গাসাগর রেলস্টেশন। সেখান থেকে যাবে আখাউড়া রেল স্টেশন। নিশ্চিন্তিপুর হবে সীমান্ত রেল স্টেশন।

নিশ্চিন্তিপুর থেকে গঙ্গাসাগর স্টেশনে নতুন করে পাতা হবে রেল লাইন। সেখান থেকে আগের লাইনের পাশ ধরে রেল যাবে আখাউড়া পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৪,
সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর কো-অর্ডিনেশন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।