ঢাকা: সহিংস বিক্ষোভের পর আপাতত শান্ত রয়েছে ইউক্রেন। নিরাপত্তা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীরা কেউ কারও ওপর শক্তি প্রয়োগ করছে না।
বুধবার পুলিশের গুলিতে ও সংঘর্ষে দুই বিক্ষোভকারী মারা যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী দলের নেতারা বৈঠকে বসেন। তাদের এ বৈঠকের পর আপাতত শান্ত রয়েছে ইউক্রেন।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠকে বিক্ষোভকারীদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
বৈঠকের পর কিয়েভের ময়দান নামে পরিচিত ইন্ডিপেন্ডেন্স স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের এক নেতা ওলেহ তিয়াহনবুক বিক্ষোভকারীদের আহ্বান জানান, ইয়ানুকোভিচ আটক বিক্ষোভকারীদের ছেড়ে দেওয়া ও আর কাউকে আটক না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তবে সরকারবিরোধী অন্যান্য নেতারা বলছেন অন্য কথা। তাদের বক্তব্য, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় ফল খুব সামান্যই এসেছে।
কিয়েভ থেকে আল-জাজিরার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ইন্ডিপেনডেন্স স্কয়ার শান্ত কিন্তু উত্তেজনায় পূর্ণ।
বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেডে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে সব রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইয়ানুকোভিচ। তবে প্রেসিডেন্টের এ প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না বিক্ষোভকারীরা।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ভিটালি জাখাচেনকো ময়দানে বিক্ষোভকারীদের শিবির উচ্ছেদ না করার নিশ্চিয়তা দিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ৭৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫২ জনের বিরুদ্ধে ‘ম্যাস রায়ট’ এর অভিযোগে তদন্ত চলছে।
নতুন আইনে বিক্ষোভকে ‘মাস রায়ট’ নামে নতুন অপরাধের আওতাভুক্ত করেছে ইউক্রেন সরকার। এ অপরাধ করলেও দোষীকে সর্বোচ্চ আট বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি না করায় ইউক্রেনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। নভেম্বরে এ ইস্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল হয় কিয়েভ। গত সপ্তাহে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকে অপরাধের আওতাভুক্ত করে আইন পাস করা হলে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৪