ঢাকা: মিশরে স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের তৃতীয় বার্ষিকী উদযাপনকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক ব্যক্তি।
রোববার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে গণঅভ্যুত্থান বার্ষিকী উপলক্ষে ৠালি বের করার চেষ্টা করা হলে নিরাপত্তা বাহিনী তাতে বাধা দেয়। এতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে রোববার সকাল পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এসব সহিংসতার ঘটনায় রাজধানী কায়রো ও আলেকজান্দ্রিয়াসহ অর্ধশতাধিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
অভ্যুত্থান বার্ষিকীর কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীর কেন্দ্রবিন্দু তাহরির স্কয়ারসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করে সরকার। তাহরির স্কয়ার ও অন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর আকাশে হেলিকপ্টার নিয়ে টহল দেয় সামরিক বাহিনী।
তাহরির স্কয়ারসহ সারা দেশে শনিবার থেকে অভ্যুত্থান বার্ষিকী পালনে টানা ১৮ দিনের কর্মসূচি পালনের ডাক দেয় সরকারবিরোধীরা। পাল্টা কর্ক্ষসূচি ঘোষণা করে ক্ষমতাসীন সেনা সমর্থকরাও।
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উদ্বিগ্ন না হতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২০১০ সালের শেষ দিকে শুরু হওয়া আরব বসন্তের ঢেউ লাগে মিশরেও। লাগাতার ১৮ দিনের গণবিক্ষোভের মুখে ২০১১ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি পতন ঘটে স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের।
মোবারকের পতনের পর নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসে মুসলিম ব্রাদারহুড। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন দলটি নেতা মোহাম্মদ মুরসি। তবে এক বছর না যেতেই ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গত বছরের জুলাই মাসে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকলেও দেশটিকে মূলত নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল ফাতাহ আল-সিসি।
গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে আসছে এক সময়ের নিষিদ্ধঘোষিত দল মুসলিম ব্রাদারহুড। বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত প্রায় হাজারোধিক ব্রাদারহুড সমর্থক নিহত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৪