ঢাকা: থাইল্যান্ডে বিরোধী দল ছাড়াই রোববার একতরফা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে৷ তবে সরকারবিরোধী অান্দোলনকারীদের বাধায় প্রায় ১২৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়৷ স্থগিত কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
তবে শতকরা ৮৯ ভাগ নির্বাচনী কেন্দ্রে স্বাভাবিকভাবেই ভোট গ্রহণ করা হয়েছে দাবি সরকারের।
সোমবার দেশটির নির্বাচন কমিশন জানায়, বিরোধীদের কর্মসূচির কারণে দেশটির প্রায় ৬০ লাখ ভোটার ভোট দিতে পারেনি।
ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার দল পুয়ে থাই পার্টি নির্বাচনে বিজয়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বৈধতা এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক সংসদ সদস্যদের অভাবে রাজনৈতিক সঙ্কটে পড়তে পারে দলটি। কেননা, সংবিধান অনুযায়ী শতকরা ৯৫ ভাগ আসন পূর্ণ না হলে নতুন সংসদ বসতে পারে না।
তাছাড়া অনেক স্থানে পুনরায় ভোট গ্রহণের পরও সংসদের সব আসন পূরণ হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সরকার চাচ্ছে, অতি দ্রুত স্থগিত কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ দিতে।
রোববার প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা বলেন, বিক্ষোভকারীদের মিথ্যাচারের কারণে ভোট গ্রহণে কিছুটা স্থবিরতা আসলেও নির্বাচন ঠিকভাবেই এগুচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এর মাধ্যমে জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোট দিতে পারবেন।
আর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে রোববার বিরোধী দলের নেতা সুথেপ তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠন করা সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৪