ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে মন্ত্রিপরিষদের পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১১
পাকিস্তানে মন্ত্রিপরিষদের পদত্যাগ

ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন দেশটির মন্ত্রীরা। অর্থনৈতিক সংকটের মুখে সরকারের ব্যয় কমাতে তুলনামূলক ছোট মন্ত্রিসভা গঠনের অংশ হিসেবে বুধবার মন্ত্রীরা পদত্যাগ করেন।



পঞ্চাশ জনেরও বেশি মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেন, ‘এটাই বর্তমান মন্ত্রিপরিষদের শেষ বৈঠক। ’

আগামী চার দিনের মধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদের নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ওমর জামান খাইরা বলেন, ‘বর্তমানের তুলনায় ভবিষ্যতের মন্ত্রিসভার আকার আরও ছোট হবে। বিরোধী দল থেকে মন্ত্রিপরিষদের আকার ছোট করার দাবি জানানো হয় এবং ক্ষমতাসীন পিপলস পার্টি জনগণ ও বিরোধী দলের দাবি বাস্তবায়নে এ পদক্ষেপ নিয়েছে। ’

তবে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এ পদত্যাগপত্র গ্রহণের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রিপরিষদ বিলুপ্ত করা হবে বলে এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান।

সংবিধানের ১৮তম সংশোধনীতে মন্ত্রিপরিষদের আকার ছোট করার বৈধতা দেওয়া হয়েছে। তবে এর সদস্য সংখ্যা ৪৯ জনের বেশি না থাকার শর্তও দেওয়া হয় এতে।

মন্ত্রিপরিষদের সংস্কার বিষয়ে বহু দিন থেকেই বিরোধী দলের চাপের মধ্যে আছে পাকিস্তানের সরকার। জানুয়ারিতে বিরোধী নেতা নেওয়াজ শরীফ সংস্কারের জন্য ৪৫ দিনের সময় বেঁধে দেন।

এ বিষয়ে দলের মুখপাত্র সিদ্দিকুল ফারুক বলেন, ‘আমরা সরকারের ৩০ শতাংশ ব্যয় কমানোর দাবি করেছিলাম, তবে এ বিষয়ে আমরা হতাশ। এ মাস শেষ হওয়ার আগেই ৪৫ দিনের সময়সূচী শেষ হয়ে যাবে কিন্তু তারা এখনও এ বিষয়ে বাস্তসম্মত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ’

‘জনগণের কাছে এখন নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানানোর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। আমরা অবশ্যই নতুন মন্ত্রিপরিষদের আকার ও গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করবো। তারপরই শুধু বলা যাবে এটা আমাদের দাবি পূরণে সক্ষম হয়েছে কি না। ’

‘তাদের অবশ্যই বিলাসবহুল জীবনযাপন পদ্ধতি বাতিল করে অপ্রয়োজনীয় খাতের ব্যয় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে হবে। কেননা দেশের অর্থনীতির দ্রুতই পতন হতে যাচ্ছে। ’

গত বছর বন্যায় দেশটির ৯৭০ কোটি ডলার ক্ষতি হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানের সরকার অর্থনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে দেশটির বিরোধী দলসহ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও অন্যান্য সাহায্য সংস্থার ব্যাপক চাপের মধ্যে আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।