সম্প্রতি ইসরায়েল ফিলিস্তিনির গাজায় জাতিসংঘ স্কুলে হামলা করে ১৬ জনকে হত্যা করেছে। এই হত্যার দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইসরায়েল।
হামলার পর গাজার একটি হাসপাতালে আশ্রয় নিতে আসা হতাহতদের স্বজনরা জানায়, তাদের আরো নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে এটা ভেবে বাসের জন্য স্কুলের বারান্দায় অপেক্ষা করছিলেন। এসময় তাদের ওপর গোলা নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী।
জাতিসংঘ হামলার সত্যতা পেলেও সূত্র নিশ্চিত হতে পারেনি।
গত বৃহস্পতিবারের ওই হামলার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েলও। তবে তারা জানায়, এরিয়েল ফুটেজে তারা দেখতে পান স্কুলের প্রাঙ্গনটি খালি ছিল। তাদের শেলের আঘাতে কেউই হতাহত হয়নি।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের দাবি, উদ্দেশ্যমূলকভাবে হামলা চালানো হয়নি।
ফিলিস্তিনি সরকারি কর্মকর্তার জানায়, বেইথ হানুন এলাকায় ইসরায়েলের তিনটি ট্যাংক শেল স্কুলটিতে আঘাত হানে। গাজায় সংঘর্ষ শুরুর পর একক হামলায় এতো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা এটি অন্যতম।
সীমান্ত এলাকার সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে শত শত ফিলিস্তিন জাতিসংঘের এমন স্কুলে আশ্রয় নিয়ে থাকে।
জাতিসংঘের এইড এজেন্সি এই হামলার পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছে।
গত ৮ জুলাই ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত হাজারের বেশিও ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
এদিকে গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি চলছে। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ উল-ফিতরকে সামনে রেখে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৪