ঢাকা: মরণঘাতী এবোলো ভাইরাস আরো ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পশ্চিম আফ্রিকার তিনটি দেশে ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওন কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেয়। একইসঙ্গে দেশ দুটি আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে এ নিয়ে বৈঠকও বাতিল করেছে।
শুক্রবারই গিনির রাজধানী কোনক্রেতিতে ইবোলো কবলিত দেশগুলোর নেতারা জরুরি বৈঠকে বসছেন। খবর: টেলিগ্রাফ
লাইবেরিয়ার রাষ্ট্রপতি অ্যালেন জনসন স্যারলিফ জরুরি অবস্থা ঘোষণার আগে দেশটির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। তিনি স্কুল বন্ধের পাশাপাশি বিপনি বিতানে জটলাও নিষিদ্ধ করেছেন।
এছাড়াও সিয়েরা লিওনের রাষ্ট্রপতি আর্নেস্ট বাই করোমা দেশটিতে অন্তত দুই থেকে তিন মাসের জন্য এ জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন। এ সময় ঘরে ঘরে অনুসন্ধান চালিয়ে এবোলো আক্রান্ত রোগীদের সনাক্ত করার নির্দেশ দেন।
এদিকে জাতিসংঘের সহযোগী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ইবোলো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বাড়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
ডব্লিউএইচও এর তথ্য অনুযায়ী, ইবোলো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন গিনিতে। সেখানে এখন পর্যন্ত ৩৩৯ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন আরো প্রায় ৪৬০ জন।
অপরদিকে সিয়েরা লিওনে মারা গেছেন ২৩৩ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩৩ জন। আর লাইবেরিয়ারে এ মরণঘাতী ভাইরাসে প্রাণ গেছে ১৫৬ জনের। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩২৯।
এছাড়াও নাইজেরিয়ারে এক লাইবেরিয়ান সরকারি কর্মকর্তা মারা গেছেন।
ইবোলো ভাইরাসে মৃত্যর হার ২৫ থেকে ৯০ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, অগাস্ট ০১, ২০১৪