ঢাকা: তিন দিনের যুদ্ধবিরতির পর আবারও গাজায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার রকেট হামলার জবাবে এ বিমান হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
মিশরের মধ্যস্থতায় গত মঙ্গলবার তিন দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে শর্ত না মানায় দীর্ঘস্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা চললেও এ ধরনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় হামাস। শুক্রবার সকালে ৭২ ঘণ্টা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিমান হামলা শুরু করা হয় বলে জানায় ইসরায়েল সরকার।
এদিকে, শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া গাজার রকেট হামলাকে ‘অগ্রহণযোগ্য, অসহনীয় ও অদূরদর্শী’ বলে আখ্যা দেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
যদিও হামাস এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তথাপি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করছে, শুক্রবার সকাল থেকে গাজার জঙ্গিরা ১০টি রকেট ছুঁড়েছে। আশকেলোন শহরে আয়রন ডোম ব্যবহার করে একটি রকেট প্রতিহত করা হয়েছে। বাকিগুলো উন্মক্ত স্থানে পড়েছে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দেওয়া নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে হামাস জানায়, গাজায় জাহাজ চলাচলে পোতাশ্রয়ে খুলে দেওয়ার মতো অনেক দাবি ইসরায়েল মেনে নেয়নি। তাই তারা যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি নয়।
হামাসের এক মুখপাত্র জানান, ফিলিস্তিনি মধ্যস্থকারীরা মিসরের কায়রোতে ইসরায়েলি মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে পরোক্ষ সংলাপে মিলিত হচ্ছেন। যে পর্যন্ত হামাসের দীর্ঘমেয়াদী দাবিগুলো পূরণ না হবে সে পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হবে না।
মুখপাত্র জানান, তার সংগঠন ‘দীর্ঘ মেয়াদে’ যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত।
ফিলিস্তিনের এক কর্মকর্তা বলেন, ৮ জুলাই ইসরায়েলি নৃশংসতা শুরুর পর এখন পর্যন্ত ১৮৭৫ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। হামাসের রকেট হামলা রুখতে ও গাজায় টানেলগুলো ধ্বংস করার নামে এমন হত্যাযজ্ঞ চালায় ইসরায়েল।
জাতিসংঘ বলছে, নিহতের ১৩৪৫ জনই বেসামরিক নাগরিক। এদের মধ্যে ৪১৫ জন শিশু ও ২১৪ জন নারী রয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সরকারের দাবি, দুই বেসামরিক ও এক থাই নাগরিকসহ হামাসের রকেটে তাদের ৬৪ সেনা নিহত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার মিসরের মধ্যস্থতায় ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে যায় ইসরায়েল-হামাস। মিসর এখন দুই পক্ষকে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতিতে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৪