ঢাকা: তুমুল বিক্ষোভ-সহিংসতায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন বারকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট ব্লেস কমপাওর। একইসঙ্গে সংসদ বিলুপ্ত ঘোষিত হলেও তিনিই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়ায় প্রতিবাদে ফেটে পড়ে সরকারবিরোধীরা। কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী বৃহস্পতিবার পার্লামেন্ট ভবন, সরকারি দলের প্রধান দপ্তর ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দপ্তরে হামলা চালায়। পার্লামেন্টে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দিয়ে লুটপাটও করে। তছনছ করেন টেলিভিশন ভবনও।
বিক্ষোভ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার রাতে জরুরি অবস্থা জারি করে সংসদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট। এরপর দেশব্যাপী বিক্ষোভ আরও জোরদার হয়।
সহিংসতায় অন্তত ৩০ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন বলে দাবি করেন বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা বেনেওয়েন্ডা সাঙ্কারা।
শুক্রবারও রাজধানী ওয়াগুডুগুতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারবিরোধীরা। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে জনগণকে সরকারি স্থাপনা দখলের আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলের নেতা জেফিরিন ডায়াবের।
বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করবেন কিনা এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা তৈরি হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর টেলিভিশন ও রেডিওতে দেওয়া ভাষণে কমপাওর বলেন, তিনি এখনও রাষ্ট্রপ্রধান এবং তিনি পদত্যাগ করবেন না।
পরবর্তী দফায় নির্বাচন করবেন না জানিয়ে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করে কমপাওরে জানান, ১২ মাসের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে সব রাজনৈতিক দল থেকে প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত সরকারের নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
কিন্তু সরকারবিরোধীরা কোনো ধরনের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তার অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছে। বিরোধীরা মনে করছে, ২০১৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার কথা বলে কৌশল সৃষ্টি করছেন প্রেসিডেন্ট।
১৯৮৭ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসেন ব্লেইস কমপাওর। এরপর থেকে চার চারবার বিতর্কিত নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেন। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এবছর পুনরায় ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধির করার উদ্যোগ নেওয়া হলে বিক্ষোভ শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৪