ঢাকা: গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগকারী ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহ এবং তার মিত্র হুথি বিদ্রোহীদের দুই শীর্ষ কমান্ডারের ওপর ভ্রমণ ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ।
ইয়েমেনের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করার পাশাপাশি চলমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
জাতিসংঘে লিথুনিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি ও ইয়েমেনের ওপর অবরোধ আরোপ বিষয়ক জাতিসংঘ কমিটির প্রধান রেমোন্ডা মারকোকেইত শুক্রবার বলেন, কমিটির ১৫ সদস্যের সবাই সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহ ও হুথি বিদ্রোহী কমান্ডার আব্দ আল খালিক আল হুথি এবং আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া আল হাকিমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে একমত হয়েছেন।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে এই তিন ব্যক্তি এখন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং বিদেশে ব্যাংকে রাখা অর্থ জব্দের শিকার হবেন।
ইয়েমেনের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং মানবাধিকারের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫ সদস্যের ওই কমিটি বানায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহ ও দুই হুথি বিদ্রোহী কমান্ডারের ওপর অবরোধ আরোপের জন্য ইয়েমেন অবরোধ কমিটির কাছে অনুরোধ জানিয়ে গত সপ্তাহে চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, সালেহ শুধু হুথি বিদ্রোহীদের ইয়েমেনের কেন্দ্রীয় সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্যই ব্যবহার করছেন না বরং পরিস্থিতি ঘোলাটে করে দেশটিতে ফের অভ্যুত্থান ঘটানোই তার চূড়ান্ত লক্ষ্য।
অবরোধের ঘোষণার পর ইয়েমেনের রাস্তায় নেমে আসে সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহ ও দুই হুথি কমান্ডারের সমর্থকরা। অবরোধ প্রত্যাহার না করলে তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বানচালের হুঁশিয়ারি দেয়।
এদিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে ইয়েমেনকে বের করে আনার জন্য ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট ঐক্যমতের সরকার গঠন হয়েছে দেশটিতে। গত সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখে ইয়েমেনের সব কটি রাজনৈতিক দল ও হুথি বিদ্রোহীরা এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে উপনীত হলেও নানা অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে পিছিয়ে যায় সরকার গঠন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৪