ঢাকা: শান্তিতে সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের সাহসিকতাকে সম্মান জানিয়ে তার আদর্শ বিশ্বব্যাপী প্রচারে এতোদিন ধরে ‘মালালা দিবস’ পালন করা হলেও এবার ঠিক তার উল্টোটি করেছে পাকিস্তানের কিছু স্কুল।
মালালা তার আত্মজীবনী ‘আমি মালালা’তে বিতর্কিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি ও বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করায় এবং তাদের মতামতের পক্ষে সাফাই গাওয়ায় সোমবার (১০ নভেম্বর) মালালা বিরোধী দিবস পালন করেছে স্কুলগুলো।
অল পাকিস্তান প্রাইভেট স্কুলস ফেডারেশন’র (এপিপিএসপি) ব্যানারে ‘আমি মালালা নই’ শীর্ষক দিবসটি পালনকারী স্কুলগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ‘মালালা পাকিস্তানবিরোধী ও ইসলামবিরোধী অবস্থানে থেকে বইটি লিখেছেন। ’
এপিপিএসপি’র প্রেসিডেন্ট মির্জা কাশিফ আলী বলেন, মালালা আর সালমান রুশদি ও তসলিমান নাসরিন একই কাঁধির কলা। রুশদিরই আদর্শিক ক্লাবের লোক মালালা।
মালালার বইয়ে রুশদির বইকে বাক স্বাধীনতার মুখপত্র বলে ইঙ্গিত করার নিন্দা জানান মির্জা কাশিফ।
প্রসঙ্গত, রুশদিকে ইসলাম ও পাকিস্তানবিরোধী লেখক হিসেবে বিবেচনা করে পাকিস্তানের কট্টরপন্থিরা।
মালালা বিরোধী দিবস সর্বত্র পালনের জন এর প্রচার-প্রচারণা আরও বাড়ানো হবে বলে জানান এপিপিএসপি’র প্রেসিডেন্ট।
কিশোরী মালালা নারী ও শিশু শিক্ষার পক্ষে জোরালো বক্তব্য দিয়ে ২০১২ সালের অক্টোবরে তালেবানদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরই মধ্যে নারী ও শিশু শিক্ষার পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখায় বিভিন্ন পর্যায় থেকে সাধুবাদ ও সম্মাননা পেতে থাকেন মালালা। সর্বশেষ সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে এ বছর ভারতের কল্যাণ সত্যার্থীর সঙ্গে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারও জিতে নেন।
মালালাকে ‘জাতিসংঘ কন্যা’ ঘোষণা দিয়ে তার জন্মদিন ১২ জুলাইকে ‘মালালা দিবস’ বলে ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৪