ঢাকা: ফেরিডুবিতে তিন শতাধিক আরোহী মৃত্যুর ঘটনায় কর্তব্যে গাফলতির অভিযোগে ওই ফেরির ক্যাপটেনকে ৩৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত। এছাড়া ৩০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয় জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে।
১৬ এপ্রিল ডুবে যাওয়া ফেরিটির ৪৭৬ আরোহীর অধিকাংশই ছিলেন সিউলের একটি হাইস্কুলের শিক্ষার্থী। ছুটি কাটানোর জন্য ওই ফেরিতে তারা সিউলের নিকটবর্তী জেজু দ্বীপে যাচ্ছিলো।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এ ফেরিডুবির ঘটনা সবচেয়ে মর্মান্তিক নৌ ট্রাজেডি হিসেবে বিবেচিত।
সরকারি কৌসুলিরা এ ঘটনায় ফেরির ক্যাপটেন লি জুন সিউককে বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনেন এবং তার মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেন।
ফেরিডুবির পর তদন্তে জানা যায়, ক্রুরা ফেরিতে থাকা কার্গোগুলোকে ঠিকভাবে বেঁধে রাখার ক্ষেত্রে অবহেলা প্রদর্শন করেন। ফলে সাগরে দুলুনির সময় কার্গোগুলো ফেরিটির এক প্রান্তে সরে গেলে এটি ভারসাম্য হারায়। এছাড়া ফেরিডুবির সময় যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা বাদ দিয়ে ক্যাপটেন জাহাজ ছেড়ে নিজের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
তবে এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় নিহতদের আত্মীয় স্বজনদের। এক নারী আদালত কক্ষে চিৎকার করে বলতে থাকেন,‘আমাদের শিশুদের জীবনের মূল্য কোথায়, দায়ীরা মৃত্যুর থেকেও জঘন্য শাস্তির উপযুক্ত। ’
ফেরিডুবির ঘটনায় মোট ২৯৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে নয় জনের মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার পর পুরো কোস্ট গার্ড বাহিনীকে বাতিল করে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাতে ব্যর্থতা ও অযোগ্যতার অভিযোগে কোস্ট গার্ডের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৪