র্সিতে: লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। সোমবার সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীরা জড়ো হচ্ছে ত্রিপোলি দখলের লক্ষ্যে।
এর আগে গাদ্দাফির জন্মভূমি সিরতে যৌথ বাহিনীর বিমান হামলার চালায়। খবর এএফপির।
টানা নয় দিনের জোট বাহিনীর সামরিক অভিযানের পর বিদ্রোহীরা একের পর এক শহর দখল করে চলেছে৷
রোববার ন্যাটো বাহিনী লিবিয়ায় সামরিক অভিযানের পুরো নেতৃত্ব নিয়েছে। ক্ষমতা হস্তান্তরের সামরিক পরিকল্পনার জন্য ২৮টি মিত্র দেশের রাষ্ট্রদূত ন্যাটো সদর দপ্তরে এক বৈঠকে বসেন। এর আগে ফ্রান্স ও তুরস্ক এর বিরোধিতা করায় এ বিষয়ে দীর্ঘ দিনের তর্ক-বির্তকের পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে রোববার সিরতে যৌথ বাহিনী অভিযানের সময় ত্রিপোলিতেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, তেল সমৃদ্ধ লিবিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযানের ফলে প্রাণহানীর সঙ্গে সঙ্গে দেশের তেল উৎপাদন এবং অর্থনীতিরও ক্ষতি হচ্ছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে তেল উত্তোলন প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য যৌথ বাহিনীর অভিযান এবং বিক্ষোভকারীদের দায়ি করেছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ চার দশকের বেশি ক্ষমতা আকঁড়ে থাকা গাদ্দাফির পতন ও তার বাহিনীর হাত থেকে জনকে রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮,২০১১