লন্ডন: গাদ্দাফি পরবর্তী লিবিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো লন্ডনে জড়ো হয়েছে।
লিবিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর ‘বর্বরোচিত’ হামলা বন্ধে দেশটির শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি আবেদন করার কয়েকদিন পরই সাতটি আরব দেশেসহ মোট ৩৫টি দেশ এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছে।
এদিকে সোমবার এক ভিডিও কনফারেন্সে লিবিয়ার রাজনৈতিক পরিবর্তন বিষয়ে সম্মেলনে আলোচনার বিষয়ে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা সম্মত হন।
এক্ষেত্রে সুবিধার জন্য লিবিয়ার প্রধান বিরোধী দলকে লন্ডনে আমন্ত্রণ জানানো হলেও এ সম্মেলনে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এদিকে গাদ্দাফির বিরোধীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্রের দূত খুব শিগরিই লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের দখল করা বেনগাজি সফর করবেন বলে মার্কিন এক কর্মকর্তা জানান।
তবে এরইমধ্যে ‘আধুনিক, মুক্ত এবং ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র’ গঠনে স্বাধীন ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য মঙ্গলবার কাজ করার অঙ্গীকার করে বিবৃতি দেয় লিবিয়ার বিরোধী টিএনসি দল।
এর আগে গত ১৯ মার্চ গাদ্দাফির হামলা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা এবং নো ফ্লাই জোন আরোপের জাতিসংঘ নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশটিতে হামলা করে পশ্চিমা জোট বাহিনী।
পরবর্তী দশ দিনে গাদ্দাফির ট্যাঙ্ক ও সশস্ত্র গাড়িতে হামলা দেশটিতে গাদ্দাফির বিরোধীদের আবারও বিভিন্ন শহর পুনর্দখল করতে সাহায্য করে।
এদিকে লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা জানায় প্রকাশিত এক চিঠিতে গাদ্দাফি বলেন, ‘লিবিয়াবাসীদের জন্যই লিবিয়া ত্যাগ করুন। শান্তিপূর্ণ জাতি ও উন্নয়নশীল দেশের বিরুদ্ধে আপনারা গণহত্যা চালাচ্ছেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘন্টা, মার্চ ২৯, ২০১১