ঢাকা: ডাক্তার ৩৪ স্টোন ওজনের (প্রায় ২১৫ কেজি) এক ব্যক্তির হৃদকম্পন খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। অ্যালান বেলমন্ট নামের ২৪ বছর বয়সী এই যুবক খুবই দুঃখিত হন যখন ডাক্তার তাকে জানান যে স্টেথেস্কোপ যন্ত্র এমনকি আল্ট্রাসাউন্ড মেশিন দিয়েও তার হৃদকম্পন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ডাক্তার তাকে বলেন, হাসপাতালে এমন কোনো শক্তিশালী যন্ত্র নেই যে তার পুরু মাংসপেশীর স্তর ভেদ করে হৃদস্পদন ধরতে পারে।
মেডিকেলের ছাত্ররা ঘটনাক্রমে তার বাহুর নিচে তার নাড়িকম্পন খুঁজে পেতে সক্ষম হন। কিন্তু এতে বেলমন্ট খুবই ব্যথা পান বলে তিনি জানান।
তাই বেলমন্ট তার ওজন প্রায় ২০ (১২৭ কেজি) স্টোনে নামিয়ে আনার জন্য লক্ষ্য স্থির করেছেন যা তার বর্তমান ওজনের প্রায় অর্ধেক।
তিনি বলেন, “আমি সম্প্রতি হাসপাতালে গিয়েছিলাম কিন্তু ডাক্তার আমার হৃৎপি- খুঁজে পায়নি। এজন্য এখন নিজেকে ‘সচল মৃত মানুষ’ মনে হয়। এমনকি তারা আল্ট্রাসাউন্ড মেশিন দিয়েও আমার হৃৎযন্ত্র খুঁজে পায়নি, যা তারা গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন। ’
তিনি আরো বলেন, “আমি খুবই অবাক হই যখন ডাক্তাররা আমাকে বলেন, তারা আমার নাড়ি খুঁজে পায়নি। এতে খুব ব্যথা পায়। এখন আমি আমার ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি যখন গাড়িতে বসি তখন আমার সিটবেল্ট বাঁধতে পারি না। এসব কারণেও আমি আমার ওজন কমাতে সংকল্প করেছি। আমি আবার একজন সাধারণ মানুষ হতে চাই। ”
বেলমন্ট একজন বেকার মানুষ যিনি বর্তমানে প্রতিমাসে ২৬৭ পাউন্ড (ব্রিটিশ মুদ্রা) প্রতিবন্ধী ভাতা পান। তিনি বলেন, ছোটবেলায় শ্বাসকষ্টের অসুখ ছিল। এ তার মোটা হওয়ার কারণ।
তিনি বলেন, “সারা জীবন আমার স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছিল। আর ছয় বছর বয়সে আমার শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। আমার মনে হয়, বিভিন্ন ওষুধ এবং ইনহেলার আমার এই ওজনের জন্য দায়ী। কিশোর বয়সে আমর ওজন ছিল ১২৭ কেজি। ”
ডেইলি মেইল অবলম্বনে দেবোত্তম কুমার দেবনাথ
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১১