আজদাবিয়া: লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ন্যাটো। বিদ্রোহী যোদ্ধাদের কমান্ডার জেন আব্দেল ফাতাহ ইউনিস এ কথা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার লিবিয়ার তেল সমৃদ্ধ ব্রেগা শহরে অবস্থানরত বিদ্রোহীদের ট্যাঙ্কে ন্যাটো বাহিনী বিমান হামলা চালায়। এতে প্রাথমিকভাবে ২ বিদ্রোহী নিহত ও ১০ জন আহতের খবর পাওয়া যায়।
কিন্তু পরে বিদ্রোহীরা বলছেন, হামলায় তাদের ৪ সদস্য নিহত হয়েছেন। স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৩ জন।
জেন ইউনিস জানান, ‘সতর্কতা সংকেত দেওয়ার পরও ন্যাটো তাদের ওপর বিমান হামলা করে। এ সময় আমাদের ট্যাঙ্কগুলো সামনে অগ্রসর হচ্ছিল। ’
জেন ইউনুস বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে তা আমরা তাদের কাছে জানতে চাই। এ ব্যাপারে যৌক্তিক এবং পরিস্কার ব্যাখ্যা আমরা চাই। ’
তিনি আরো বলেন, এমন ভুলের পুনরাবৃত্তি অবশ্যই হতে দেওয়া যাবে না। ভবিষ্যতে আরো ভালো সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
তবে এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় ইউনিস বলেন, ন্যাটোর সঙ্গে বিদ্রোহীদের কোনো বিরোধ নেই।
বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার নামে লিবিয়াতে আন্তর্জাতিক বাহিনীর সামরিক হস্তক্ষেপের পর তৃতীয়বার এমন ভুলের ঘটনা ঘটল।
এ ব্যাপারে স্থানীয়দের অনেকেই লিবিয়ায় পশ্চিমাদের ভূমিকা নিয়ে এখন সন্দেহ প্রকাশ করছেন।
বৃহস্পতিবার এমনি এক নারী বলছিলেন, এটা সত্যি সত্যি তাদের ভুল, নাকি গাদ্দাফির সঙ্গে তাদের কোনো গোপন আঁতাতে এসব ঘটানো হচ্ছে।
বিদ্রোহী যোদ্ধা ফারাজ বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই তারা আমাদের বাহিনীর ওপর গোলাবর্ষণ করে। ’
তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘আমরা শুধু সারকোজিকে (ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট) পছন্দ করি। ন্যাটো বা অন্য কোনো পক্ষ আমরা চাই না। ’
গত মাসে লিবিয়াতে গাদ্দাফি বিরোধী বিদ্রোহ সশস্ত্র রূপ নিলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে বেসামরিক লোকদের রক্ষায় গত ১৯ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং ব্রিটিশ যৌথ বাহিনী সামরিক হস্তক্ষেপ করে।
তবে লিবিয়াতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এ সামরিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছে পরিষদের অপর সদস্য চীন, রাশিয়া ও জার্মানি।
বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১১