জেরুজালেম: গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌযান বহরে সেনা হামলার দায় স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক। মঙ্গলবার সরকার নির্ধারিত প্যানেলের সামনে ৩১ মে সংঘটিত এ ঘটনার দায় তিনি নিজের কাধে তুলে নেন।
ওই হামলায় নয়জন মানবাধিকার কর্মী নিহত হন।
এ হামলার তদন্তে নিয়োজিত তুরস্কের কমিশনের পাঁচজন সদস্যসহ দুইজন বিদেশী পর্যবেক্ষকের সামনে বারাক বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে সংঘটিত সব ঘটনার দায়-দায়িত্ব আমার। রাজনৈতিক পর্যায় থেকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’
বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে জানাগেছে, বারাকের এ মন্তব্যের একদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগের আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, নৌযান বহরে হামলার ক্ষমতা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছে।
তবে ওইদিনই পরে নেতানিয়াহু তার এ বিবৃৃতি থেকে সরে আসেন। নৌযান বহরে হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত সকল ঘটনার দায় দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন।
তারপরও বারাকের এ মন্তব্য নেতানিয়াহুর জন্য রাজনৈতিক জটিলতা তৈরি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা বারাক প্যানেলকে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও সাতজনের ফেরামে যাচাই-বাছাইয়ের পর নৌযান বহরের গতিরোধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ’
বারাক প্যানেলের কাছে আরও বলেন, ‘এখানে ভাল ও মন্দের মধ্যে নয় বরং দুটি মন্দ উপায়ের মধ্যে বাছাই করতে হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজনীতিবিদরা করণীয় নির্ধারণ করে দেওয়ার পর আইডিএফ অভিযানটি সম্পন্ন করেছে। ’
তবে সোমবার ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, এ অভিযানে নিয়োজিত সেনা সদস্যদের আইনি জটিলতায় জড়ালে জাতিসংঘের এ তদন্ত কাজে ইসরায়েল সাহায্য করবেনা।
তবে শেষ পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইসরায়েলি সেনা বা কর্মকর্তাদের প্রশ্ন না করার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হলে ইসরায়েল এ প্যানেলে সাক্ষ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১০