প্যারিস: দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার পুরুষদের মধ্যে বিদেশী নারী বিয়ের প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের মেয়েরা বিয়ে করতে অনিচ্ছুক হওয়ায় এই প্রবণতা বাড়ছে।
ফ্রান্সের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোগ্রাফিক স্টাডিজ’ এর জার্নালে এই সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয়। সমীক্ষাটি পরিচালনা করেন, ইংল্যান্ডের ওয়েস্টার্ন ওন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড্যানিয়েল বেলেঙ্গার। বেলেঙ্গারের সমীক্ষায় আরো দেখা গেছে, প্রায় গত এক দশকেরও বেশি সময় আগ থেকে এ অঞ্চলের নারীদের মধ্যে দেশান্তরের একটি প্রবণতা তৈরী হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “১৯৯০ এর দশকের শুরু থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পুরুষরা বিয়ে করার জন্য বিদেশি মেয়েদের দিকে ঝুঁকে পড়তে শুরু করে। ”
২০০৯ সালে তাইওয়ানের ১৫ শতাংশ পুরুষের স্ত্রী ছিলো বিদেশি বংশোদ্ভুত। একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এই হার ছিল আট শতাংশ। এই প্রবণতা জাপানে ১৯৮০’র দশকের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে সংযত হারে। বিদেশি নারী বিয়ে করার হার জাপানে পাঁচ বা ছয় ভাগ।
বেলেঙ্গার ওই সমীক্ষায় বলেন, এই দেশগুলোতে বিয়ে করার মতো নারী না পাওয়ায় ছেলেরা বিদেশি কনেই ঘরে আনছে।
সমীক্ষা অনুযায়ী এ অঞ্চলে নারীদের শিক্ষার হার বেড়ে গেছে। ফলে কর্মক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতি বেশ লক্ষণীয়। এ ধরনের মেয়েরা প্রথাগত স্ত্রীর ভূমিকা পালন করতে চাচ্ছে না। তাঁরা চাকরি করতে ও একা থাকতে পছন্দ করছেন।
বেলেঙ্গার বলেন, “পুরুষরা সন্তান জন্মদানের মাধ্যমে পিতার ভূমিকা পালন করছে। কিছু ক্ষেত্রে, বৃদ্ধ পিতামাতার দেখভালের দায়িত্বও বর্তায় তাদের ওপর। ” ফলে তাদের পক্ষে অবিবাহিত থাকা সম্ভব হচ্ছে না।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১০