ঢাকা: আসামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। চলতি বছর বন্যার পানিতে ডুবে এই রাজ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর (এএসডিএমএ) জানিয়েছে, ধেমাজি, কোকরাঝর, চিরং, লখিমপুর, তিনসুকিয়া, দিব্রুগড়, বোনগাইগাঁও, শিবসাগর, সোনিতপুর, বারপেতা, জোরহাট, গোয়ালপাড়া, মোরিগাঁও, ধুবরি, কামরুপ, গোয়ালঘাট ও দারাং জেলার প্রায় দেড় হাজার গ্রাম বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।
জেলাগুলোর মধ্যে বোনগিয়াগাঁওয়ের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এ জেলায় ১ লাখ ৬৮ হাজার মানুষ পারিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এরপরই কোকরাঝরের অবস্থান। সেখানে ১ লাখ ৬৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিনযাপন করছেন।
বিপদসীমার ওপর দিয়ে ব্রহ্মপুত্রের পানির প্রবাহ অব্যাহত থাকায় কামরুপ মেট্রোপলিটন কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে।
রাজ্যের ৫৭ হাজার ৫০০ হেক্টরেরও বেশি ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে বলে জানিয়েছে এএসডিএমএ। এছাড়া অন্তত ৫৪টি সড়ক ও পাঁচটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ রাজ্যের পানি সম্পদমন্ত্রী বসন্ত দাস ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৫
আরএইচ