ইউকে: ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত পায়ের ক্ষত নিরাময়ের বিষয়টি রোগীর জীবনযাত্রা এবং তাদের অবসাদের মাত্রা দ্বারা প্রভাবিত।
ডায়াবেটিকস সংক্রান্ত জার্নাল ‘ডায়াবেটোলজিয়া’র আগস্ট সংখ্যায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, “অবসাদগ্রস্ত ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের ক্ষত ধীর গতিতে সারে।
পায়ের ক্ষত আছে এমন ৯৩ জন ডায়াবেটিক রোগীর ওপর ২৪ সপ্তাহব্যাপী এ গবেষণা চালানো হয়।
গবেষণার শুরুর পূর্বে এবং গবেষণা শুরুর ৬, ১২ ও ২৪ সপ্তাহান্তে রোগীদের পায়ের ক্ষতের তুলনামূলক পরিমাপ করা হয়। এ সময় গবেষকরা রোগীদের মানসিক চাপ, জীবনযাত্রা ও হরমনজনিত চাপের বিষয়টিও নিরূপণ করেন।
ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়, জীবনযাপনের ক্ষেত্রে বিরোধপূর্ণ পদ্ধতি অবলম্বন করা ডায়াবেটিক রোগীদের ঘা বা ক্ষত সারতে দেরী হতে পারে।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহামের মুখপাত্র কবিতা বেধারা বলেন, “আমি এবং আমার সহকর্মীরা মনে করি, রোগীদের এ অনিচ্ছাকৃত বিরোধপূর্ণ আচরণের কারণে পায়ের ক্ষত সারতে দীর্ঘ সময় নেয়। ফলে এ ধরনের রোগীরা কষ্ট ও হতাশায় ভোগেন। কারণ তাদের নিয়ন্ত্রণ চেষ্টা দ্রুত আরোগ্য বয়ে আনে না। ”
গবেষকরা আরও মনে করেন, অবসাদ ডায়াবেটিক রোগীদের মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
পায়ের ক্ষত আছে এমন ডায়াবেটিক রোগীদের অবসাদ কমাতে মানসিক চিকিৎসা উন্নয় ও তাদের বিদ্যমান অবস্থা প্রতিরোধে সক্ষম করে তোলার জন্য গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা করা হয়।
উল্লেখ্য, টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিকে আক্রান্ত রোগীদের ১৫ শতাংশ পর্যন্ত পায়ের ক্ষতে আক্রান্ত হয়। যখন কোনো ুদ্র চর্মক্ষত নিরাময় হয় না তখন তা ঘায়ের আকার ধারণ করে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১০