বেইজিং: উত্তর-পশ্চিম চীনে ভূমিধসে ১২৭ জনেরও বেশি নিহত ও প্রায় ২ হাজার নিখোঁজ হয়েছেন। একইসঙ্গে ভূমিধসে আরও ৭০ জন আহত হয়েছেন বলেও প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
শনিবারের ভারী বর্ষণের কারণে বিশেষত তিব্বতীয় এলাকায় সৃষ্ট এ ভূমিধসে ঘরবাড়ি ও সড়ক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও গানশু প্রদেশের আক্রান্ত এ এলাকা পরিদর্শন করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ২০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে গভীর নদীতে কাদা থাকার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়।
অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য কর্তৃপক্ষ প্রায় ৩ হাজার সেনা ও ১শ’ জন চিকিৎসককে সেখানে পাঠিয়েছেন।
এদিকে বন্যায় ঝুকো জেলার প্রায় অর্ধেক অঞ্চল প্লাবিত হয় এবং অন্তত ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে আক্রান্ত গান্নান প্রদেশের প্রধান মাও শেনংওয়ার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে।
মূলত জেলাটির মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে ভূমিধসের কারণে কাদা, বাড়িঘর ও আবর্জনা পড়ে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে বন্যার সৃষ্টি হয় বলে সরকারী সূত্রে জানা যায়।
ঝুকো জেলার প্রধান দাইমুজিয়াংতেং বলেন, “বেইলং নদী প্লাবিত হয়ে সারা জেলায় পানি ছড়িয়ে পড়েছে এবং অনেকে এতে আটকে পড়েছে। কাদামাটি এখন উদ্ধার কাজে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। ”
আক্রান্তদের উদ্ধারে চেষ্টার কোনো ক্রটি না রাখতে উদ্ধারকর্মীদের প্রতি আবেদন জানান প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও এবং প্রধানমন্ত্রী ওয়েন।
শনিবার শুরু হওয়া বৃষ্টি এখন বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার ও বুধবার ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সর্বশেষ এই প্রাকৃতির দুর্যোগটির আগে প্রকাশিত সরকারী সূত্রে জানানো হয়, চলতি বছরে পুরো চীন জুড়ে ভয়াবহ বন্যায় নিহত বা নিখোঁজ ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ১শ’রও বেশি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১০