ঢাকা: সরকার উৎখাতে তুরস্কের সামরিক বাহিনীর একটি অংশের প্রচেষ্টাকে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ করে দিতে সমর্থ হলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসিপ তাইপ এরদোগান।
রাতভর নানা নাটকীয় ঘটনার পর ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে ফেরত পেয়ে অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পরিণতির হুমকি দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার ( জুলাই ১৫) সারারাত ধরে চলা এই রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ।
তাদের মধ্যে অভ্যুত্থানের পক্ষে বিপক্ষের সেনা সদস্যরা ছাড়াও রয়েছেন পুলিশ ও সাধারণ মানুষ। এছাড়া আহত হয়ে দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অন্তত এক হাজার ১৫৪ জন।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) তুরস্কের স্থানীয় সময় এশার নামাজের পর থেকে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালায় তুরস্কের সেনাবাহিনীর একাংশ। এ সময় ইস্তাম্বুলের এশীয় ও ইউরোপীয় অংশের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী সেতুগুলো বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি তারা দখল করে নেয় সরকারি টেলিভিশন টিআরটিসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের অফিস। এছাড়া প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস ও পার্লামেন্টের সামনে মোতায়েন করা হয় ট্যাংক। অভ্যুত্থানকারী সেনা সদস্যরা হামলা চালায় অাঙ্কারার পুলিশের বিশেষ বাহিনী এবং জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়েও।
আরও পড়ুন- ছবিতে তুরস্কের সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা
তবে সামরিক বাহিনীর সরকারপন্থী অংশ এবং ক্ষমতাসীন একে পার্টির সমর্থকদের তৎপরতায় কয়েক ঘণ্টার বেশি টিকতে পারেনি বিদ্রোহী সেনারা।
শনিবার সকালের দিকেই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার আলামত ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ইস্তাম্বুল ও রাজধানী আঙ্কারার বিভিন্ন স্থানে ধীরে ধীরে আত্মসমর্পণ করতে শুরু করে অভ্যুত্থানকারী সেনা সদস্যরা। আঙ্কারায় তুরস্কের আর্মি হেডকোয়ার্টারে পুলিশের কাছে একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করেন অভ্যুত্থানকারী ২০০ সেনা কর্মকর্তা।
অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত এক হাজার ৫৬৩ জনকে আটক করেছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ। যাদের বেশিরভাগই সেনা সদস্য। তাদের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচ জন জেনারেল ও ২৯ জন কর্নেল পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন বলে জানা গেছে।