ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

লেবানন ছাড়তে নাগরিকদের নির্দেশ সৌদি-আমিরাত-কুয়েতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
লেবানন ছাড়তে নাগরিকদের নির্দেশ সৌদি-আমিরাত-কুয়েতের সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ আল-হারিরি

ইরান ও হেজবুল্লাহর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ আল-হারিরি পদত্যাগের চার দিনও কাটলো না। মধ্যপ্রাচ্যকে আরও সন্ত্রস্ত করে দেশটি থেকে নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কুয়েত। একইসঙ্গে আর কোনো নাগরিককে দেশটিতে ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগে থেকেই একই নির্দেশনা আছে বাহরাইনের।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাতে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বার্তায় এই নির্দেশনা জারি হয়। কয়েকঘণ্টা পরই সমান নির্দেশনা জারি করে আরব আমিরাত ও কুয়েত।

গত শনিবার (৪ নভেম্বর) সাদের পদত্যাগের পর রোববারই (৫ নভেম্বর) নাগরিকদের লেবানন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাহরাইন।

এ বিষয়ে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বার্তায় বলা হয়, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় লেবাননে অবস্থানরত সৌদি নাগরিকদের অবিলম্বে দেশটি ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে অন্য কোনো দেশ থেকেও লেবাননে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ’ ঘণ্টাকয়েক পরই একইরকম নির্দেশনা জারি করে আরব আমিরাত ও কুয়েত।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, সৌদি বলয়ের চারটি দেশের এই নিষেধাজ্ঞা জারির পর লেবানন ঘিরে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে খ্রিস্টান ও শিয়া-সুন্নি মিলিয়ে মুসলিম অধ্যুষিত দেশটিতে সৌদির এ জোট কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করবে কি-না, অথবা কোনো সামরিক পদক্ষেপে যাবে কি-না, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত না মিললেও পরিস্থিতি সেদিকেই এগোচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সেদিন রিয়াদ থেকে সাদ আল-হারিরির আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণায় নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে লেবানন। দীর্ঘ দিন ধরেই দু’ভাগে বিভক্ত লেবাননের রাজনীতি। একটি শিবির চালায় ইরানের সমর্থনপুষ্ঠ শিয়াপন্থি হেজবুল্লাহ। আর একটি শিবির চালায় সৌদি আরবের সমর্থন পুষ্ট সুন্নিপন্থি সাদের দল।  

পদত্যাগ ঘোষণা করে সাদ বলেন, ইরান ও তার মদদপুষ্ট হেজবুল্লাহ সমগ্র লেবানন দখলে নিয়েছে। হেজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠান-বিরোধী কাজ করছে বিধায় অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। এতে জীবন শঙ্কায় পড়ে যাওয়ায় আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

লেবাননের বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্ব অবশ্য সাদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। তার ঘোষণার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইকেল আউন জানিয়ে দিয়েছেন, দেখা না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ মেনে নিচ্ছেন না।

আর হেজবুল্লাহ ও ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাদ রিয়াদের ইন্ধনে লেবাননকে এই পরিস্থিতি ফেলে পদত্যাগ করেছেন। বরং সৌদি আরবই সাদকে ব্যবহার করে লেবাননের বিরুদ্ধে কলকাঠি নাড়ছে।

তবে, এই পদত্যাগ-নিষেধাজ্ঞায় শেষমেষ লেবানন রাষ্ট্র এবং এর জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এইচএ/

** ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাইলেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।