জওয়ানদের এই উৎসর্গকে বৃথা যেতে দেওয়া হবে না প্রতিজ্ঞা করে অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, আপনাদের বুকে যে আগুন জ্বলছে, আমার বুকেও একই আগুন জ্বলছে।
অন্যদিকে টুইটারে এক বার্তায় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি লিখেছেন, হামলাকারী সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সন্ত্রাসী হামলার পর এর বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন ভারতবাসী। পরিস্থিতি মোকাবেলায় একাট্টা হয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি থেকে শুরু করে কংগ্রেসসহ কেন্দ্রীয়-আঞ্চলিক সব রাজনৈতিক দল।
হামলার ঘটনার জেরে এরইমধ্যে কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানকে ভারতের দেওয়া বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধার (মোস্ট ফেভারড ন্যাশন) ‘আশ্বাস’ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
সন্ত্রাসী ওই হামলার নিন্দা জানিয়েছে প্রায় ৪০টি দেশ। সেই সঙ্গে এসব দেশকে ওই হামলার মূলহোতা মাসুদ আজহারকে ‘জাতিসংঘের মনোনীত সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করতে সমর্থন দেওর অনুরোধ জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
পাশাপাশি কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে দেওয়া সরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেড়ে নিয়েছে ভারত সরকার। সামনে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
আসামের একটি সমাবেশে অমিত শাহ বলেন, সিআরপিএফ সেনাদের এই উৎসর্গ আমরা বৃথা যেতে দেবো না। ভারতে বর্তমানে ক্ষমতায় কংগ্রেস না, মোদী সরকার। এই সরকার জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে আপস করবে না।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপুর এলাকার গোরিপুরে বড় ধরনের একটি বিস্ফোরণে দেশটির বিশেষায়িত বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ৪৪ সদস্য নিহত হন। পরে হামলা দায় স্বীকার করে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ।
ওই হামলার ঘটনাটির জেরে ভারত-পাকিস্তান বাকযুদ্ধ তুঙ্গে পৌঁছেছে। দু’পক্ষই পরস্পরের কূটনীতিককে তলব করেছে। ভারত এই হামলায় পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে প্রতিবাদ জানালে ইসলামাবাদ তা প্রত্যাখ্যান করে উল্টো প্রতিবাদ জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
এসএ/জেডএস