আনুষ্ঠানিক ঘোষণা কেবলই সময়ের ব্যাপার। তবে তার আগে বুথফেরত জরিপ মতে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কোকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন জিলেনস্কি।
ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে প্রার্থীকে ৫০ শতাংশ ভোটের বেশি পেতে হয়। তিন সপ্তাহ আগে প্রথম পর্বের ভোটগ্রহণের পর ৩৭ প্রার্থী ছিটকে পড়েন। সেসময় পোরোশেঙ্কো পান ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট, আর জিলেনস্কি পান ৩০ দশমিক ৪ শতাংশ। সে পর্বে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দু’জনকে নিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) দ্বিতীয় পর্বে ভোটগ্রহণ শেষে দেখা যায়, নির্বাচনে জিলেনস্কি পেয়েছেন ৭৩ দশমিক ০২ শতাংশ ভোট এবং পোরোশেঙ্কো পেয়েছেন মাত্র ২৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ ভোট। প্রথম পর্বে ভোট কম পড়লেও দ্বিতীয় পর্বে ভোট পড়েছে ৬২ দশমিক ০৭ শতাংশ।
সদ্য রাজনীতিতে যোগ দেওয়া ৪১ বছর বয়সী কৌতুক অভিনেতা জিলেনস্কির কাছে ৫৩ বছর বয়সী পোরোশেঙ্কোর এ হার তার দলের জন্য বেশ বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নির্বাচনে জয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জিলেনস্কি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি আপনাদের হতাশ করবো না। যদিও এখনো অফিসিয়ালি প্রেসিডেন্ট ঘোষিত হইনি। তবু ইউক্রেনের এক সাধারণ নাগরিক হিসেবে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলোকে বলবো; তাকান আমাদের দিকে, কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।
যে ‘সার্ভেন্ট অব দ্য পিপল’ শোয়ে কৌতুকাভিনেতা জিলেনস্কি প্রেসিডেন্ট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, সেই শো’র নামানুসারেই তিনি তার রাজনৈতিক দলের নাম রাখেন। এই দলের নেতা হিসেবেই প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তিনি।
কোনো রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকায় জিলেনস্কি তার নির্বাচনী প্রচারণায় বিশেষ কোনো নীতি অনুসরণ করেননি। কেবল অন্য প্রার্থীদের তুলনায় তার আলাদা সত্তাই তুলে ধরার চেষ্টা করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অত্যন্ত সক্রিয় জিলেনস্কি সবচেয়ে বেশি সচেষ্ট ছিলেন তরুণ ভোটারদের টানতে। শেষ পর্যন্ত তারুণ্যই যেন পথ দেখালো রুশ ও ইউক্রেনীয় দুই ভাষায়ই সাবলীল এই অভিনেতাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, ২২ এপ্রিল, ২০১৯
একে/এইচএ/