ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ প্রধান টিটো কারনাভিয়ান আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, হতাহতদের মধ্যে কারো গুলি লেগেছে, কারো গায়ে ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এ ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করা উচিৎ নয়।
গুজব বন্ধে দেশের কিছু এলাকায় ফেসবুক, টুইটারসহ সবধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২১ মে) দেশটির রাজধানী জাকার্তায় পুনর্নির্বাচনের দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হলেও শিগগিরই তা সহিংসতায় রূপ নেয়। এসময় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশের দিকে দাহ্যপদার্থ নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীরা।
সহিংস বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
এদিকে, নির্বাচনবিরোধী এ বিক্ষোভ পূর্বপরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মুখপাত্র মুহাম্মদ ইকবাল। তিনি বলেন, বেশিরভাগ আন্দোলনকারী জাকার্তার বাইরে থেকে এসেছিল।
মঙ্গলবার (২১ মে) নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচন কমিশন। এতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
ফলাফলে জানানো হয়, ১৭ এপ্রিলের নির্বাচনে উইদোদো পেয়েছেন ৫৫.৫% ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক জেনারেল প্রাবোও সুবিয়ান্তো পেয়েছেন ৪৪.৫% ভোট। এ নির্বাচনে প্রায় ১৯ কোটি ২০ লাখ ভোটার অংশ নিয়েছেন।
তবে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফলাফল বর্জন করেছেন ৬৭ বছর বয়সী প্রাবোও।
২০১৪ সালের নির্বাচনে জোকো উইদোদোর কাছে হেরে আদালতে ফলাফল চ্যালেঞ্জ করেছিলেন সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা। তবে, ভোটের মতো সে চ্যালেঞ্জও হেরে যান তিনি। এবারের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রাবোও আদালতে যাবেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়।
যদিও, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
ভোটের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার পর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ভবনের সামনে জমা হতে থাকেন হাজার হাজার প্রাবোও সমর্থক। পরে পুলিশের বাধার কারণে সেখান থেকে সরে তারা জাকার্তার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন।
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলে জাকার্তার বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের খবর দেখানো হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরজুড়ে ৩০ হাজারেরও বেশি সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
একে