আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রবিন হায়েনস ফিশার (৪৪) নামে ওই বৃটিশ নাগরিক শনিবার সকালে এভারেস্টের সমাবেশস্থলে পৌঁছালেও মাত্র ১৫০ মিটার দূরে থাকতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ও মারা যান। তার শেরপা গাইডও অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে দ্রুত নিচের একটি ক্যাম্পে নামিয়ে আনা হয়।
শুক্রবার (২৪ মে) এভারেস্টের উত্তরাঞ্চলীয় তিব্বত অংশে মারা যান কেভিন হায়েনস (৫৬) নামে এক আইরিশ নাগরিক।
এর আগে, চলতি সপ্তাহে এভারেস্টে ভারতের চারজন, নেপাল, অস্ট্রিয়া ও আমেরিকার একজন করে মারা গেছেন। গত সপ্তাহে মারা গেছেন আরও এক আইরিশ নাগরিক। তার মরদেহ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
চলতি বসন্ত মৌসুমে রেকর্ড ৩৮১ জনকে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার অনুমতি দিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছে নেপাল। এ বছর মাত্র ১১ হাজার ডলারের বিনিময়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতচূড়ায় ওঠার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে, এভারেস্টে রীতিমতো ভিড় লেগে গেছে পর্বতপ্রেমীদের। এর সমাবেশস্থলে তৈরি হয়েছে ট্রাফিক জ্যামের মতো অবস্থা।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যায়, দীর্ঘ লাইন ধরে এভারেস্টের চূড়ার দিকে এগোচ্ছেন আরোহীরা।
এতে সৃষ্টি হয়েছে দুর্ভোগ আর ঝুঁকিও। ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার উঁচু পর্বতচূড়ায় অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকায় আরোহীদের শরীর দ্রুত খারাপ হতে পারে বলে আশংকা বিশেষজ্ঞদের।
কর্তৃপক্ষ বলছে, অন্য সময়ের চেয়ে এবার আবহাওয়া বেশ খারাপ। ঝড়ো হাওয়ার কারণে আরোহীদের চূড়ায় পৌঁছানোর সুযোগ খুব কম মিলছে।
এরপরও, চলতি বছর যে হারে মানুষ এভারেস্টের দিকে ছুটছেন, তাতে গত বছরের ৮০৭ জনের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
একে