রোববার (২৬ মে) প্রায় সাড়ে ১১ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে রায়োগোকু স্টেডিয়ামে এ সুমো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর হাতে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট কাপ’ নামের ট্রফি তুলে দেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে এ বিষয়টির নাম দেওয়া হয়েছে, সুমো কূটনীতি।
শনিবার (২৫ মে) চারদিনের সফরে জাপান পৌঁছান ডোনাল্ড ট্রাম্প। মোবারা কান্ট্রি ক্লাবে পৌঁছালে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। পরে, জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পঞ্চমবারের মতো গলফ খেলায় অংশ নেন তিনি।
ট্রাম্প ও আবে দু’জনেই গলফ পছন্দ করেন। এটি তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে সাহায্য করছে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, রোববার (২৬ মে) সকালে ট্রাম্প ও আবে একসঙ্গে সকালের নাশতা করেন। এরপর তারা সপরিবারে জাপানের ঐতিহ্যবাহী সুমো প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বরাবরই কুস্তিপ্রেমী। তিনি একসময় ওয়ার্ল্ড রেসলিং ফেডারেশনের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। এ কারণেই সুমো প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়ে আর না করেননি ট্রাম্প।
সোমবার (২৭ মে) প্রথম বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে জাপানের নতুন সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এদিন, ট্রাম্প ও আবে আনুষ্ঠানিক বৈঠকেও বসবেন, পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন তারা। রাতে, সম্রাটের আমন্ত্রণে জাপানের ইম্পেরিয়াল প্যালেসে এক রাজকীয় নৈশভোজে অংশ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্র-জাপানের মধ্যে সাম্প্রতিক বাণিজ্য ও স্বয়ংক্রিয় শুল্ক বিষয়ক উত্তেজনা প্রশমনে বেশ চেষ্টা চালাচ্ছেন শিনজো আবে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার হুমকি ও স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ওয়াশিংটনের কাছে অগ্রাহ্য হওয়ার বিষয়েও প্রতিবাদ জানাবে জাপান।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানে আঘাত করতে সক্ষম। কিন্তু, এক টুইট বার্তায় বিষয়টিকে ‘গুরুত্বহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিরাপত্তা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বরাবরই নির্ভরশীল জাপান। ২০১৬ সালের শেষের দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই ট্রাম্প টাওয়ারে ছুটে যান জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। সে সময় তিনি আন্তর্জাতিক চুক্তিসহ উত্তর কোরিয়ার ওপর মার্কিন চাপ অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।
বেশ কিছুদিন ধরেই জাপান থেকে আমদানি করা গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপর নতুন শুল্ক বসানোর হুমকি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প বলেছেন, জাপান ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছ থেকে বিশেষ ছাড় না পেলে আমদানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।
সফরকালে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সর্ম্পক ছাড়া বাণিজ্য বিষয়েও আলোচনা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দুই বছর আগে বহুজাতিক ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ থেকে বের হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রেক্ষিতে, সোমবারের (২৭ মে) বৈঠকে জাপানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আশা করছেন ট্রাম্প।
যদিও, বিশ্লেষকদের ধারণা, ট্রাম্পের জাপান সফরকালে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
একে