গত বুধবার (৫ জুন) ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এনট্রেন্স টেস্ট (এনইইটি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের তারা আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ জুন) চেন্নাইয়ের ভিল্লুপুরাম শহরে মনিষা (১৮) নামে জেলে সম্প্রদায়ের এক মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, ফল প্রকাশের পর রাজ্যের তিরুপপুরে রিতুশ্রী ও পাট্টুকোট্টাই শহরে বৈশ্য নামে দুই ছাত্রী আত্মহত্যা করেন।
তিন ছাত্রীর পরিবারই তাদের ব্যর্থতার জন্য পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন হওয়াকে দায়ী করেছেন।
এসব ঘটনায় কারও কাছেই ‘সুইসাইড নোট’ পাওয়া যায়নি জানিয়েছে পুলিশ।
এ নিয়ে, গত দু’বছরে এনইইটি পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে অন্তত ছয় শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলো।
একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনায় মেডিক্যালে ভর্তিতে এনইইটি পদ্ধতি বাতিলে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে স্থানীয় ছাত্র সংগঠনগুলো।
তবে, বিজেপি সরকার এটি পুনর্মূল্যায়নের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। বিভিন্ন কারণে তামিলনাড়ু সরকার মেডিক্যালে ভর্তির এ পদ্ধতি প্রায় নয় বছর বন্ধ রেখেছিল।
দ্রাভিডা মুন্নেত্রা কাঝাঘাম (টিএমকে) প্রধান এম কে স্টালিন জানিয়েছেন, তার দলের সংসদ সদস্যরা বিষয়টি পার্লামেন্টে উত্থাপন করবেন। রাজ্যের কংগ্রেস ও বাম নেতারাও এ পরীক্ষা পদ্ধতি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।
তামিলনাড়ুর বিধায়ক ও আম্মা মাক্কাল মুন্নেত্রা কাঝাঘাম (এএমএমকে) প্রধান টিটিভি ধিনাকরণ বলেন, আত্মহত্যা করা ছাত্রীদের একজন আমার দলের জেলে ইউনিয়নের নেতার মেয়ে। এনইইটি সমস্যা সমাধানে এএমএমকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলেও জানান বিধায়ক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৯
একে